আনুষ্ঠানিক ক্রীতদাস প্রথার, হয়েছে অবসান;
তবু কেন মানুষ, দাসত্ব থেকে পাচ্ছেনা পরিত্রান?
যুগে যুগে দাসত্ব আসছে, নতুন নতুন অবয়বে;
কিন্তু কোনই পরিবর্তন আসেনা, প্রভুদের স্বভাবে।


দুর্বলের উপর, সদা চলছে সবলের অত্যাচার;
কেহ কখনো, কোথাও নাহি পায়, এর সুবিচার।
সারা দুনিয়ায়, সাইবেরিয়া থেকে এন্টার্কটিকা;
দুর্বলের উপর অত্যাচারের চিহ্ন, আছে আঁকা।


এ দেশে খুঁজলে পাবে, হাজার হাজার যৌনদাসী;
প্রাচুর্য়ের কাছে বিকাচ্ছে নিজেকে, মুখে নেই হাসি।
আফ্রিকা-এশিয়ার লাখ নারী, পাচার হয় আরবে;
তাদের ভাগ্যে কি অত্যাচার জোটে, নেই তা খবরে।


ছোট দেশগুলো, আমেরিকা-রাশিয়ার ক্রীতদাস;
কথা না শুনলেই, তাদের গলায় পরিয়ে দেয় ফাঁস।
এ দেশের চা-শ্রমিক, গার্মেন্টস কর্মীর কি হাল?
অলিখিত ক্রীতদাস হিসাবেই তারা, কর্মে বহাল।


পেট্রো-ডলারের বলে, আরব শেখরা বলিয়ান;
ফিবছর দুই/এক বার সেক্স ট্যুরে পারি দেয় ভূবন।
মানবাধিকারের ধ্বজাধারী দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র;
সে দেশের মালিক কালরা তুচ্ছ,  দখলদারই শ্রেষ্ঠ।


এখনো বাসার দরিদ্র কিশোরী কাজের মেয়েটা; তার সমবয়সীর শিক্ষককে, বাড়িয়ে দিচ্ছে চা টা।
শিক্ষার অধিকার তার হরণ করে নিল, দারিদ্র্য;
আজন্ম ক্রীতদাস সে, মুক্তির পথ তার চির রুদ্ধ।  


অর্থ, বিত্ত, শিক্ষা আর ক্ষমতায় যারা বলিয়ান;
তারাই প্রভু, তারাই মালিক, তারা এ যুগের মহান।
অন্যরা তাদের দাস, নেই জীবনে তাদের সুবাস;
এভাবেই যুগে যুগে, বয়ে চলচ্ছে বোঝা, ক্রীতদাস।
                          তারিখঃ ১৫-১০-২০২২ ইং;
               ---------০০০