এ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার স্মার্টফোন;
ছোট্ট এ যন্ত্রটি, স্বল্পসময়ে কেড়েছে সবার মন।
যদি কাউকে বল, তোমার প্রথম প্রেম কোনটি?
সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে, আমার স্মার্টফোনটি।


জান সবে, পৃথিবীর প্রথম আবিষ্কার আগুন;
যা' দিয়েছিল পাল্টে আদিম মানুষের জীবন।
তারই ধারা মেনে, নব নব আবিষ্কারের সাথে;
স্মার্টফোনের আগমন ঘটে, আমাদের হাতে।


ছয় থেকে সাড়ে ছয় ইঞ্চি সাইজের যন্ত্র এটা;
সেটাই দখল করে নিয়েছে, জীবনের অনেকটা।
এটা একে সব; ফোন, ঘড়ি, রেডিও, কম্প্যুটর;
টিভি, টেপ রেকর্ডার, অডিও-ভিডিও প্লেয়ার।


পকেটে করে নিয়ে চলে, সবে এ ছোট্ট যন্ত্রটারে,
এটাতে দেশ-বিদেশের অডিও-ভিডিও কল করে।
ছবি তোলে, টিভি দেখে, করে শিক্ষা, শোনে গান,  
একটা যন্ত্রে দিয়েই চলে কাজ-কর্ম ও বিনোদন।


ক্ষুদ্র এ যন্ত্র, দিয়েছে পাল্টিয়ে মোদের জীবন;
শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই নিয়েছে করে, আপন।
ছোট্ট সোনা, খায় না খানা, ফোনের কার্টুন বিনা;
কিশোর-কিশোরী খেলছে হেথা, হয়ে আনমনা।


যুবক-যুবতীর কাছে, এটা প্রথম প্রেম-ভালবাসা;
ফোন নিয়ে দিবা নিশি পার, ভুলে ক্ষুধা পিপাসা।
তাদের সময় কাটে, প্রেম, চ্যাটিং, টিকটক করে;
ঘুমিয়ে রাত তিনটায়, জাগে দুপুর বারটার পরে।


বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও অলস সময় করে পার; এটা দিয়ে;
রাঁধুনি খোঁজে নতুন নতুন রেসিপি ফোন নিয়ে।
গৃহিণীর জমা খরচ সহ, সব তথ্য হেথায় মিলে;
ধার্মিকের ধর্মীয় কাজ; ধর্মগ্রন্থ পাঠ, সবাই চলে।


অতিপ্রয়োজনীয় এ যন্ত্রটা এখন জীবনের সাথী
এটা ছাড়া অচল মোরা, কাটেনা যে দিন রাতি।
সব কর্মের একটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া বিদ্যমাণ;
বলেছেন এক সেরা বিজ্ঞানী, আইজাক নিউটন।


বাসে বসে এক সুন্দরী মেয়ে, নিমগ্ন স্মার্টফোনে;
এক তরুণ ব্যর্থ হয়; তার মনোযোগ আকর্ষণে।
স্বাগত স্বরে বলে সেজন; যদি হতাম স্মার্টফোন;
শোভা পেতাম তার হাতে; হৃদয় ছুঁয়ে যেত মন।


আমাদের যুবসমাজ আজ স্মার্টফোনে নেশাগ্রস্ত;
জাতির ভবিষ্যৎ যা করবে, ভীষনভাবে বাধাগ্রস্ত।
তাই এটা বন্ধ নয়; নিয়ন্ত্রণ অতিব জরুরী আজ;
তবেই স্মার্টফোন দিবে সুফল; হবে সঠিক কাজ।
                  তারিখ: ১৮.০৮.২২ ইং