আমি যৌবনের গান গাই; আমি অকুতোভয়।
উদাম দেহে, এন্টার্কটিকা করতে পারি জয়।
পেঙ্গুইনের সাথে সাঁতারাই, বরফ গলা জলে।
আমি চলি সমান তালে, অন্তরিক্ষ-জলে-স্থলে।
পালের নৌকায়, আমি আটলান্টিক দেই পারি।
আমি সমুদ্র শ্রোতের ঝুঁটি ধরে, হুঙ্কার ছাড়ি।
আমি অদম্য, আমি অক্ষয়, আমি দূর্জয়;
আমি যৌবনের গান গাই; আমি অকুতোভয়।


সাহারা মরুভূমিতে আমি বয়ে দেই, বন্যার জল;
নির্মাণ করতে পারি, হাজার হাজার তাজম'ল।
পরিবর্তন করতে পারি, মিসিসিপির গতিপথ;
চিরতরে স্তব্ধ করব আমি, পাপিষ্ঠ রাবনের রথ।
সূর্য থেকে রঙ এনে, প্রিয়ার ঠোঁট রাঙিয়ে দেই;
মাইনাস পঞ্চাশে, উদাম শরীরে নাচি ধেই ধেই।
দুনিয়া থেকে ঝেঁটিয়ে তাড়াব, সকল অন্যয়;
আমি যৌবনের গান গাই; আমি অকুতোভয়।


ছুড়ে দেয়া মিসাইল; আমি স্তব্ধ করতে পারি,
ভরা হাটে আমি ভেঙ্গে দেই, আনিয়মের হাড়ি।
সাগর তলায় রুধিব, পারমাণবিক সাবমেরিন;
শোধিব আমি, ধরণীর কাছে আছে যত ঋণ।
রিক্ত হস্তে থামাব, রাশিয়ান ট্যাংকের গতি;
আমি দুর্দমনীয় চেঙ্গিস, স্বীকার করিনা নতি।
জল-স্থল, অন্তরীক্ষ, কোথাও নহে পরাজয়;
আমি যৌবনের গান গাই; আমি অকুতোভয়।


আমি নজরুল, বাজাই বিষের বাঁশি, অগ্নিবীণা;
বীরদর্পে ভাঙ্গবো লৌহকপাট, উঁচু করে সিনা।
আমি রবী, সদা আঁকি, সোনার বাংলার ছবি;
আমি জীবনানন্দ দাস, রূপসী বাংলার কবি।
আমি পাবলো পিকাসো, এঁকে চলছি গের্নিকা;
আমি হনুমান, লেজে প্রজ্জলিত অগ্নিশিখা।
রাবনের স্বর্ণলঙ্কা, পুড়িয়ে করিয়ে নিব জয়;
আমি যৌবনের গান গাই; আমি অকুতোভয়।


আমি বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের, বজ্রকন্ঠের ঘোষণা;
নিশ্চিহ্ন করিব আজি, হানাদার যত শত্রুসেনা।
অত্যাচারী পাপীর যুলুমের রাজ্য, করিব ধ্বংস;
হিটলার-মুসোলিনির বংশ, করিব আমি নির্বংশ।
অন্যায়, অবিচার, অনিয়মের, হবে চির অবসান;
ভয় দ্বিধাহীন দুনিয়ায়, উড়াব বিজয় নিশান।
বারে বারে আসিব ফিরিয়া, আমি অয়োময়;
আমি যৌবনের গান গাই; আমি অকুতোভয়।
তারিখঃ ২০-১০-২২ ইং;