সদর দরজায় মরা কার্তিকের দীর্ঘশ্বাস;
জোটেনি খাবার তাই উপবাস।
আসছে অগ্রহায়ণ;
ধানে ধণ্যে প্রফুল্ল হবে কৃষকের মন।
হবে নবান্নের উৎসব;
খোকা খুকু সবার মনে খুশির রব।  


পৌষে শীতের চাদরে ঢেকে যাবে ধরা;
শুরু হবে বৃক্ষাদির পত্র ঝরে পড়া।
সারা প্রকৃতি শীতে ম্রিয়মাণ;  
প্রকৃতিতে ছড়াবে ঝরা পাতার  গান।
স্রোতস্বিনী সংকীর্ণ হবে জানি;
শুকিয়ে যাবে বর্ষায় জমানো অথৈ পানি।


সজীব হবে প্রকৃতি বসন্তের আগমনে;
মুখরিত পাখিদের গানে।
পত্রশূণ্য বৃক্ষে নতুন পাতার বাহার;
প্রকৃতি মাঝে নানান ফুলের সমাহার।
তরুণ-তরুণী মনে বসন্ত দিবে দোলা ;
দখিনা মলায়ে জীবন হয়ে উঠবে উতলা।


গরমের তীব্রতা নিয়ে গ্রীষ্মের প্রত্যাবর্তন;
সুমিষ্ট ফল স্বাদে ভরে দেয় মন।
বর্ষায় নদীতে আসে বান;
মাঝি কন্ঠে ধ্বনিত ভাটিয়ালি গান।
শরতের স্নিগ্ধতা যায় না ভোলা;
জোৎস্নার আলো মনকে করে উতলা।  

মহাকাল পেন্ডুলাম এ ভাবে ঘুরতে থাকে;
কত কি হারিয়ে যায় তারই ফাঁকে।
ঘুরতে থাকে ইতিহাসের চাকা;
যেথায় রয়েছে জীবনের কত ছবি আঁকা।  
কত রাজা মহারাজার হয় বিদায়;
ইতিহাস শুধু কালের সাক্ষী থেকে যায়।


দাদার চির বিদায়ে পিতার আগমন;
নবযুগে হল পদার্পণ;
পিতার বিদায়ের ঘন্টা উঠিল বেজে;
পুত্র তখন সাজিল নতুন সাজে;
সেও স্থায়ী নয় নিতে হবে বিদায়;
প্রকৃতি তার অঘোম বাণী শুনিয়ে যায়।


কালের ঘন্টা ধ্বনি শুনতে কি পাও;
তীব্র বেগে ছুটছে সময়ের নাও।
সবাই চলছে ছুটে মহাকালের পিছু;
নশ্বর পৃথিবীতে স্থায়ী নহে কিছু।
চরম সত্য নিতে হবে মানি;  
দুনিয়াটা এক ঝড়া পাতার কাহানী।
তারিখ: ২৫-১০-২০২৩ ইং;