কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে, শীত এলো ধরা মাঝে;
        প্রকৃতি সেজেছে আজ শীতের সাজে।
          বৃক্ষরাজির পত্রাদি, বিবর্ণ হলদে;
  চুপিসারে সেগুলো পড়ছে খসে, ম্রিয়মাণ রোদে।
গাছিরা সবাই ব্যস্ত এখন, খেঁজুর রস সংগ্রহ তরে;
        খেঁজুর গুড়, এখন সবার ঘরে ঘরে।
    গৃহিণীরা বানাচ্ছে পিঠাপুলি, চোখে নেই ঘুম;
ঘরে ঘরে পিঠাপুলি, পায়েস খাওয়ার পড়েছে ধুম।


   শীতের তরকারিতে ভরে আছে, ফসলের মাঠ;
       ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউয়ে ভরা হাট।
          বর্ষার উন্মত্ত নদী, শীতে শীর্ণকায়;
জেলেরা সেথায় মিলেমিশে সবে, মাছ ধরতে যায়।
পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে, মুখরিত নদিতীর;
      ভোঁদর করছে খেলা, নদি যেথায় গভীর।
       নদি জলে করছে জলকেলী, রাজহাঁস;
  খালবিল শুকিয়ে গেছে, কৃষক করছে সেথা চাষ।


শীতের সকাল বেলা, মাঠঘাট ঢাকা ঘন কুয়াশায়;
      কুয়াশা ভেদ করে, অতি দূর দৃষ্টি না যায়।
           শৈত্য প্রবাহে, কাঁপে বুড়ো হার;
শীতের কাপড় নেই, তবু বইতে হয় জীবনের ভার।
হিমশীতল রাত, রেল ইস্টিশনের প্লাটফর্মের উপর;
       একসাথে করে বাস, মানুষ আর কুকুর।
          অন্ধকারে থাকেনা উপায় চিনিবার!
  কোনটা সৃষ্টির সেরা মানুষ, কোনটা পথের কুকুর!


শীতকালে বাবুরা সুযোগ পায়, পোশাক দেখাবার;
     স্যুট-কোট-টাই পরে, মনযোগ নেয় সবার।
        প্রত্যহ নতুন নতুন পোশাকের সমাহার;
গিন্নীরাদেরও আছ নানা রঙের পোশাকের বাহার।
শীত আনে ডালিয়া, গাঁদা আর চন্দ্রমল্লিকার ঘ্রাণ।
       শীতেই চলে বনভোজনের আয়োজন।
    মেয়ে-জামাই নিয়ে মহা উল্লাসে পৌষ পার্বণ;
আনন্দ-বেদনায় এমনি করে কাটে, শীতের জীবন।
             তারিখঃ ২৬-১১-২০২২ ইং;