বিদায়ের গাড়ি এসেছে সাজিয়ে দাও আমায় ,
চলে যাবো আপন পথে ,
যে পথের শেষ কোথায় তা জানা নাই ।
এতদিন আমি ছিলাম খনিকের মাঝে ,
আজ আমার গাড়ি এসেছে ,  থাকা কি আমার সাজে ?  


আমি যে বিদায়ের যাত্রী বিদায় নিতে হবে।
তবে বল,  কেন থাকবো এই মায়ার পৃথিবীতে ?  
থেকেছি তো  জীবনের ৬৬টি বছর,  
আর থাকবো কি কে জানে ?  
এখন আমার বিদায়ের আসবে ফিরে সে গাড়ি,  
যে গাড়ী এক দিন আমায় রেখে গিয়েছিল
এই পৃথিবীর লাখো লোকের ভিড়ে ।


আমি তো এত দিন ছিলাম তোমাদের সাথে
কিছু দিনের সাথী হয়ে ,  
তবে বল, এখন কেন করিতেছ ডাকাডাকি ?  


আমারি থাকার যে পথ আমাকে যেত দাও সে পথে ।  
বল তোমরা,  আমার সাথে কেঊ যাবে নাকি ?  
যাবে ঠিকি যে, যেদিন আমার মত তোমাদেরিও  
আসবে ফিরে সেই গাড়ী ।  


চলে যাবো তো ঠিকি,  তবে তোমরা আমাকে ভুলবেনা ,
তোমাদের মাঝে রেখে গেলাম আমার কিছু স্মৃতি ।
যে স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিবে,  আমার জীবন তোমাদেরি
মাঝে আছে , হয়নি আজো ইতি।


দেরি কোরনা তোমরা দেরি কোরনা,  সাজিয়ে দাও আমাকে ,
চার পায়েরি গাড়ী আমায় বারবার ডাকে ।  
ঐ দেখ ডাকছে আমায় ডাকছে  ,
প্রশ্ন কোরনা আমি তো বিদায়েরি যাত্রী
আমায় ছাড়া এই সময়ে, আর ডাকদেবে কাকে ?    


আমি চললাম! আমি চললাম!! আমি চললাম!!
থেকো তোমরা সুখে ,তবে শোন দাওয়াত তোমাদের
যখন আসবে তোমরা এই গাড়ীতে চড়ে,  
তখন স্মরণ কোরো আমাকে
আমি যে অপেক্ষায় ছিলাম অপেক্ষায় থাকবো
পাবে তোমাদের মাঝে ।


আমারি আছে অসংখ আবৃতি মনে পড়লে শুনবে  
তোমাদেরি মাঝে আমি আবার ফিরে আসবো  
গাইতে এই জগত মায়া গীতি।
তখনি তোমারা ভেবো আমি আগের মত আছি
হয়ে তোমাদেরি কবিতা আবৃত্তি করার সাথী ।


[কবিতাটি লিখেছি বাংলার কবিতার আবৃত্তিকার বদরুল আহসান খানকে নিয়ে। আজ বাংলা একাডেমীতে উনার সাথে আমার সাক্ষাত হ্য়। প্রায় তিন ঘ্ন্টা উনার সাথে ছিলাম । উনার জীব্নের কিছু ক্থা আজ শুনতে পারলাম । মনে মনে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করলাম যে আমি এমন এক্জন  ব্যক্তির সাথে আছি যে কবিতাকে নিজের মত করে গড়িয়ে নিতে পারে । আসলেই বলতে গেলে অসাধারণ এক জন ব্যক্তি।  ]