আমি পেয়েছিলাম নিজেকে নিঃসঙ্গ নদীর তীরে-
প্রকৃতির নির্লিপ্ততায় বন্দি ছিলাম বহুক্ষণ সময়ের হাত ধরে।
কুয়াশার মরীচিকা ঘেরাও করেছিল আমাকে; হারিয়েছিলাম পথ।
অস্ফুট আলো, নিবুনিবু জ্বলছিল সূর্য, তবুও মনে ছিল দৃঢ় শপথ।
চাদর জড়ানো শরীরটা পাষাণের মতো অচল হয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণ।
ভেবেছিলাম খনিকের তরে তবে কি রুদ্ধ হবে কায়মন?
কিন্তু না, হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় উড়ে গেল কুহেলিকা,
সূর্যের রশ্মি বিজয়কেতন উড়িয়ে হাজির হলো চারিদিকে।
মুহূর্তের মধ্যেই কেটে গেল মনের সকল শঙ্কা,
মনের এককোনায় হঠাৎ যেন বেজে উঠল যুদ্ধের ডঙ্কা।
সাহসে সঞ্চারিত মনে জেগে উঠল এক প্রশ্ন-
কোন্টা ঠিক, কোন্টা ভুল, কী বা জগতের নিয়ম?
যার জন্য মানুষ ছুটছে চারিদিকে প্রাণপণ।
স্রষ্টার রহস্য সৃষ্টি খোঁজে-তা কীভাবে হয়?
কিন্তু মনে হঠাৎ এক দার্শনিকোচিত উদয়।
আলো-আঁধার এ জগতের সব নিরবিচ্ছিন্ন খেলা,
আঁধারে ভয়, আলোতে জয়, এমনিভাবে চলছে জগৎলীলা।