সময়ের স্রোতে হারিয়ে যায় আত্ম পরিচয়ের স্বীকৃত বাঁধনগুলো,
কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়ে যায় বিবেক প্রদীপ।
যেমনিভাবে তিলোত্তমা নগরী ঢেকে যায় অন্ধকারের গহীনে,
বার্ধক্যের মরিচায় শীতল হয়ে যায় জীবনের উষ্ণ আবেদন।
অস্তিত্বে থেকেও অনস্তিত্বকে পাওয়ার পরম আকাক্সক্ষা
এ কেমন ঐশ্বরিক আবেদন হৃদয়ের মাঝে!
প্রজ্ঞার পবিত্র দালানে বসে প্রহর গুনি মিলনের
কেতাবের জ্ঞান দিন দিন বড়ই বোঝা মনে হয়।
দিল-কাবায় আমি স্পষ্ট অনুভব করি অতীন্দ্রিয় গূঢ় রহস্য,
জাগতিক ধনসম্পদ, বিষয়রাজি সবই বিষবাষ্প মনে হয়
শয়তানের পুনঃপুন আস্ফালনে রুদ্ধ হয়ে যায় বিবেকের দ্বার,
জাগতিক অশান্তির অস্থির বাতায়ন আমাকে অক্টোপাসের মতো
গিলে ফেলতে চায়, নিঃশেষ করতে চায় আমার প্রাণবায়ুকে।
তবুও রহমান রহীম মাবুদের ওপর বড়ই ভরসা আমার
আমি সাধনার দ্বার খুলে সবর ও ধৈর্যের পোশাক পরে
প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে যাই দয়াময়ের নিকট।
কোনো এক রাতে স্বপেড়ব দেখি নূরের ঝলকানিতে আলোকিত এক ভুবন
চারদিকে ঐশ্বরিক পদচারণায় মুখরিত মালাইকার দল।
ঈশ্বরের সবটুকু দয়া, মায়া, ও করুণায় অভিষিক্ত আমি,
আমার চোখে-মুখে বইছে অনির্বচনীয় অনুপম আভা,
আমিত্বের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বহুত্বের মাঝে বিলীন হয়ে গেলাম
সেদিনই প্র ম আমি নিজেকে চিনলাম, জানলাম, চিরধন্য হলাম।আমিত্বের মৃত্যু