আবেগের ঝুলিতে আল্লাহর আশীর্বাদের
এক পশলা ঢেউ ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের গভীরে
অফূরন্ত উচ্ছাসের আলোড়নে আন্দোলিত
হয় আমার মানবিক ঐশ্বর্যের প্রাসাদ।
হতচকিত ভীতবিহ্বল চোখে আমি আসি বাইরের প্রাঙ্গনে
খোলা আকাশের নিচে।
আমার সমন্ত সত্তায় কম্পমান অনুরণিত মনের
প্রতিটি কোণে জ্বলে ওঠে সত্য ও সুন্দরের জ্ঞান প্রদীপ।
মানসিক হতাশা-ক্লান্তি-জ্বরা বিদায় নেয় সমূলে
অনাবিল প্রশান্তির ফুল ফোটে অনন্ত যৌবনে।
তবুও হতাশার পাখিরা চিরদিন উঁকি দেয় সময়ের তালে
জয় পরাজয় হাসি-কান্ন, সুখ-দুঃখ
আপেক্ষিক অনুভূত হয় মনের খেয়ালে,
নন্দিত নরকের নিন্দিত তপশ্বীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় বাকরুদ্ধ পৃথিবী।
এমনিভাবে যুগের চাহনিতে শতাব্দীর অভিমান নৃত্য করে
পালাবদলের বদৌলতে মুন্সি-মাতুব্বরের গদিতে পচন ধরে
অস্তিত্বের উইপোঁকায় ক্ষতবিক্ষত হয় নীলাভ পৃথিবী।
পরক্ষণে পরিবর্তনের অঙ্গীকারে দেহমনে রঙিন নেশা জাগে
উন্মাদনায় আবেশিত মনের গহীনে স্বপ্ন বাসা বাঁধে
উজানের ঢেউয়ে জীবন সংগ্রামে ধাবিত হয় সংগ্রামী পৃথিবী।
আবারো বয়োসন্ধির গোধুলিলগ্নে ভঙ্গুর যৌবন কাঁপে
অস্তিত্বের ক্ষণে ক্ষণে ঈশ্বরিক মানবসেবার ভূত চাপে
সুকুমার বৃত্তির সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে ক্ষান্ত হয় অতৃপ্ত মন।