পরমকে পাওয়ার চিরন্তন অভিলাষ
আমার দেহ-মনে আনে শিহরণের দিগন্তজোড়া ছোঁয়া।
শিরা-উপশিরা-ধমনিতে প্রবহমান-
উষ্ণ আলিঙ্গনের ধারা প্রতিমুহূর্তে ধন্য করে আমাকে,
প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসে আমি ভ্রমণ করি আধ্যাত্মিকতার অন্তহীন দিগন্তে।
পার্থিব জগতের অপার্থিব চিন্তায় অনুভব করি মহিমান্বিত জীবনের পরশ,
একটু একটু করে আমি হারিয়ে যাই অস্তিত্ব থেকে অনস্তিত্বে,
মুক্তির চিরন্তন বলয়ে।
তবুও জাগতিক কষ্ট-দুঃখ ও যন্ত্রণার ঢেউয়ে জীবনতরীতে বাণ আসে
নফসানি খাসিয়াতের সাগরে হাবুডুবু খায় অসহায় আত্মার আকুতি
স্বর্গীয় প্রশান্তির ঝরণাধারায় ঘটে খানিক ছেদ।
আবারও বিমুগ্ধ বিস্মৃত হয়ে আমি নিরাশার তরণীতে আশার আলো খুঁজি
অদৃষ্টের নিগড়ে বন্দি মন মুক্তির আনন্দ মাগে রহমান রহিমের দরবারে
অনুতপ্ত বান্দার হৃদয় অভিষিক্ত হতে চায় ইশকে এলাহির চিরন্তন