আগুনের বহ্নিশিখা
দাউদাউ করে জ্বলছিল আমার বুকের ভেতর,
ভীষণ উত্তাপে বাষ্প হয়ে
উবে যাচ্ছিল পানি আশার জলধি হতে
কষ্ট ও হাহাকারের আর্তনাদে
চৌচির হয়ে যাচ্ছিল কণ্ঠনালি
বুকফাটা কানড়বায় শুকিয়ে গিয়েছিল
অধরের সবটুকু পানি,
হতাশা ও গানি
অক্টোপাসের মতো
ঘিরে ধরেছিল আমাকে,
তবুও ছাড়িনি আমি হাল,
ছাড়িনি মনের অটুট বিশ্বাস ও মনোবল।
সেই বিশ্বাসের জোর থেকেই
আবারও আমি চলতে শুরু করি পথ,
শুরু করি বেঁচে থাকার সংগ্রাম,
যেখানে কোনো হতাশা নেই
ভয় নেই, আছে শুধুই সাহস
যার ওপর ভর করে পৌঁছে যায়
আমি জীবনের নিশ্চিন্ত উপকূলে।
সেই থেকে অন্যরকম পথচলা,
তবুও মাঝে মাঝে
স্মৃতির পাতা উলটায়ে নিমগড়ব হয় কালজয়ী ইতিহাসের পাতায়।
বেঁচে থাকার জন্য
মানুষের কী ইচ্ছা, কী অভিলাষ!
আমি জীবন দিয়ে তা অনুভব করেছি।
আসলে এ অস্পৃশ্য ধরায়
এ অস্পৃশ্য দেশ-সমাজে বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড়ো পুণ্য।
যে পুণ্যের হিসাব কেউ কোনোদিন রাখেনি
কেউ কোনোদিন রাখবে না,
তবুও ঈশ্বর একজন আছেন
যার কাছেই সমাহিত আমার সকল স্তুতি ও কৃতকর্মের ফসল।