আমি বিভীষিকার কালো অন্ধকারে নির্ঘুম জীবন দেখেছি
আমি ঘোর অমানিশার রাত্রিতে মর্মাহত পথিককে দেখেছি
দেখেছি কালের বিবর্তনে কীভাবে থেমে যায় স্বপেড়বর চাকা
স্বপড়বভঙ্গ হলেই মনে হয় জীবনটা বড্ড ফাঁকা ফাঁকা
সেই ফাঁকা গলির ছিদ্রপথে নতুন সূর্য ওঠে
ঝলমলে আলোয় বন্যায় বাহারি ফুল ফোটে
সেই ফুলের সুবাস আমাকে মোহিত করে
মোহিত করে আমার জীবন
শোভিত করে আমার চারপাশের আলোকময় ভুবন
যে ভুবনের দেখা সকলে পায় না
যে ভুবনে সকলের বিচরণ ঘটে না
তবুও তারা স্বপড়ব দেখে
স্বপেড়বর মাঝেই তারা থাকতে পছন্দ করে
স্বপেড়বর মাঝেই দিন কাটাতে পরমানন্দ অনুভব করে
আরও অনুভব করে জীবনের পথ সরল সোজা নয়
অনুভব করে জীবনের সমীকরণগুলো বড়োই জটিল
অনুভব করে সফলতা ছাড়া সবকিছুই যেন বাতিল
কিন্তু মেনে নিতে চায় না তারা সাবলীলভাবে
মেনে নিতে চায় না তাদের মন
কখনো দেখি আর্তনাদে ফেটে পড়া মানুষের বুকফাটা কানড়বা
যদিও নয় জীবনটা তাদের কাছে শুধুই খেলনা
তবুও দেখিনি জীবনের পরাজয় সময়ে সময়ে
জীবন যেমন খুশি তেমন কেটে যায় এখানে-ওখানে
ভাবিনি খসে যাবে আকাশের তারা বড়োই অসময়ে
ভেঙে যাবে অহংকারের দেওয়াল মনের গভীরে
রাত্রির খোলস ভেঙে স্বপড়ব দেখবে অগণিত মানুষের দল
পরাজয়ে ডরে না বীর হোক-না কর্ম যতই বিফল
মরাগাঙের পাড়ে বসে শিকার খোঁজে শকুনের দল
সভ্যতার কালো ছায়ায় হারিয়ে যায় বুদ্ধিজীবীর দল
কিন্তু আমি হারিয়ে যেতে চাই না
আমরা হারিয়ে যেতে চাই না
আমরা চিরকাল বেঁচে থাকতে চাই
বেঁচে থাকতে চাই এই ধরণির