একদিন নক্ষত্রের পতনের মতো
আমিও হারিয়ে যাব মহাকালের গর্ভে,
পাড়ি দেব সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ধরণী ছেড়ে
নিরুদ্দেশের পথে, বহু স্মৃতি নিয়ে হৃদয়পটে।
হাঁটব না কোনোদিন গ্রাম্য মেঠোপথে,
হিজলের বনে, ভ্রমর-মুখর আম্রকাননে
তরুছায়া বেষ্টিত ওই যে দিঘির পাড়ে
পায়ে হেঁটে বারে বারে।
পড়বে না আমার পায়ের চিহ্ন,
কোনো মসজিদ মন্দির দেবালয়ে।
ডাকব না ঈশ্বরকে অন্তর থেকে মনেপ্রাণে
হৃদয়ের টানে, কখনোবা মনের অজান্তে ক্ষণে ক্ষণে।
দেখব না কোনো পালাগান স্কুলের মাঠে
বাদামভাজা, ঝাল-মুড়ি নিয়ে হাতে
জমিয়ে আড্ডা মেরে বন্ধুদের সাথে চাঁদনি রাতে।
দেখব না আগত কোনো শিশুর
হাস্যোজ্জ্বল মায়াবী মুখ,
বসে কোনো এক নদ-নদী-বেষ্টিত
ওই-যে দূর গ্রামে প্রকৃতির টানে।
আর কোনোদিন দেখব না
প্রিয়ার চির অম্লান বদনখানি
জোছনাময় কোনো এক রজনীতে
ওই দূর পাহাড়ের উপরে,
দুজন বসে নির্জনে,
চিন্তার অবগাহনে, স্বর্গীয় ক্ষণে,
কাটাব না সময় নীরবে নিভৃতে,
প্রকৃতির এক কোণে, নীরবে বসে আনমনে।