জীবনের এ বেলায় অনেকে খোঁজ নেয়
অনেকে খাতির জমায়
আবার অনেকে সখ্য করে মিশতে চায়
কিন্তু সেদিন কেউ খোঁজ নেয়নি
যেদিন স্কুলে যাওয়ার সময়
দুটি রুটি খাওয়ার টাকা ছিল না
ছিল না টাকা
এক প্যাকেট বিস্কুট কিনে খাওয়ার,
ছিল না উপায়
শুধুই ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করা ছাড়া
সহ্যের বাঁধ ভেঙে যেত
যখন স্কুল থেকে ফিরে
থালাবাটি মাজাঘষা করতাম
পানি সংগ্রহ করতাম
দুমুঠো খাব বলে
একটু রানড়বার প্রস্তুতি নিতাম
প্রস্তুতি নিতাম একটু অনড়ব মুখে দেওয়ার
আলু ভর্তা ও ডাল দিয়ে
ভাত মেখে যখন খেতাম
মনে হতো আমি অমৃত খাচ্ছি
খাওয়ার তৃপ্তিতে দু-চোখ ভরে
পানি চলে আসত
সে চোখের পানি বোধহয় অন্তরিক্ষে
একজন ছাড়া আর কেউ দেখেনি।
কেউ দেখেনি আমাকে কাছ থেকে
কেউ দেখেনি আমাকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে
শুধুই একজন ছিল
যে আমার পাশে ছিল
পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দিত
দিত নিরন্তর অনুর্পের ণা
দিত বাক্যালাপের ফাঁকে ফাঁকে সান্ত্বনা
সেই সান্ত্বনা নিয়ে আমি এগিয়ে গেছি
এগিয়ে গেছি শুধুই সামনে
এগিয়ে গেছি জাতীয় জীবনের বৃহৎ প্রাঙ্গণে,
যে প্রাঙ্গণে প্রতিদিন আমি স্বপড়ব দেখি
প্রতিদিন আমি নতুন ভাবনায় প্রহর গুনি
ভাবনার গভীরে আপুত
হৃদয়ে ঢেউ ওঠে
ঢেউ ওঠে জীবনকে চেনার
জগৎকে জানার
অজানা শিহরনে আবেশিত হয় দেহমন
যার পরশ আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় গভীরে।
জীবনের গভীরতা সকলে বোঝে না
নিন্দুকেরা তো কোনোদিন বুঝবে না
তারা পারে শুধুই সমালোচনা করতে
তারা পারে অন্যের ভুল ধরে
আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে
এছাড়া তারা কিছুই পারে না
পারে তারাই যারা
আত্মত্যাগ করতে পারে
আত্মত্যাগ করতে জানে
আত্মত্যাগের মহিমা আছে
যাদের হৃদয় ও অন্তরে।