খুঁজেছি তোমাকে, বটবৃক্ষের ছায়ায়
গ্রাম্য মেঠো পথে, পুকুরের ঘাটে
গঞ্জের হাটবাজারে, রাশ উৎসবে
নদীর ধারে বসে, প্রতীক্ষার পালাবদলে।
খুঁজেছি তোমায় মানুষের মাঝে জনসমুদ্রে
নগরীর অলিতে গলিতে, রেলস্টেশনে
স্টিমার-লঞ্চঘাটে, পায়ে হেঁটে হেঁটে
শপিংমলের ফুডকোর্টে, পার্কে আনমনে।
খুঁজেছি তোমায় বিন্ধ্য পেরিয়ে হিমাচলে
পৃথিবীর আনাচে-কানাচে, দেশ-দেশান্তরে
আলাস্কার পথ ধরে সাইবেরিয়ার বন-জঙ্গলে,
আফ্রিকার ধূলিময় সাহারার মরু প্রান্তরে।
অনেকদিন যাবৎ তোমাকে খুঁজছি।
আচ্ছা, কোথায় আছ তুমি?
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে আমার প্রাণ যে ওষ্ঠাগত!
যেন মনে হচ্ছে হাজার বছর ধরে তোমাকে
খুঁজে চলেছি পৃথিবীর পথে প্রান্তরে।
পাইনি কোথাও তোমাকে।
কোথায় খুঁজব তোমায়?
পাই না কোথাও খুঁজে তোমাকে-
তাহলে কি তুমি সৌরজগতের বাইরে
অন্য কোনো নক্ষত্র তারামণ্ডলে?
নাকি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বাইরে
অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে তোমার অবস্থান?
না গ্যালাক্সি কলোনি হয়ে সুপারক্লিজারড,
নাকি দৃশ্যমান ইউনিভার্সের কোনো স্থানে আছ তুমি?
নাকি এ জগৎ পেরিয়ে মাল্টিভার্সের জগতে তোমার স্থিতি এখন!