কতদিন দেখিনি তোমায়!
এখনও মনে পড়ে তোমার মায়াবী মুখ,
ছিলে তুমি অপ্সরা, ছিল চেহারা তোমার অপরূপ।
স্বর্গীয় পরশে মাতোয়ারা ছিলে চিরযৌবনা, চঞ্চলা তুমি
তোমার কাজলকালো চোখের মাঝে পেয়েছি আগুনের পরশমণি।
আজও মনে পড়ে বসন্তের প্রথম প্রহর,
দুজনের পরিচয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ,
হতচকিত কী বিহ্বল ছিল আমার মন!
পরনে ছিল তোমার হলুদ শাড়ি,
শতরূপা, অনন্যা ছিলে তুমি পূর্ণ বাঙালি নারী।
টিএসসি মোড়ে তোমাকে প্রথম দেখেই আমি মুগ্ধ ছিলাম বেশ,
কে জানে তুমি হবে আমার রুমমেটের পরিচিত বিশেষ।
আমিও এগিয়ে তোমার সামনে যেতেই হাসলে মুক্তঝরানো হাসি,
তোমার অঙ্গে অঙ্গে ছিল মনমাতানো সুবাস
বড্ড পাগল ছিলাম আমি একটু বেশি।
ভেবেছিলাম বলেই ফেলি আমি তোমাকে কত ভালোবাসি,
হারিয়ে যদি ফেলি তোমায় পাছে ভয় ছিল একটু বেশি।
আমার রুমমেট তোমাকে ডাকতেই তুমি আসলে আমার পাশে,
মনে হলো আমার হাজার বছরের প্রতীক্ষার ডাক শুনে সাড়া দিলে
ছিলে তুমি আমার হৃদয়-আকাশে।
পরিচয় শেষ না হতেই তুমি আমাকে বাড়িতে দিলে দাওয়াত,
আচমকা এমন আনন্দ অন্তরে যেন আমি
ভাবনার অতল গহ্বরে কুপোকাত।
এইতো সেদিন গেলাম তোমার বাড়ি বেড়াতে দিনটা ছিল রবিবার,
আহ্! কী ছিল তোমার বাবা-মায়ের স্নেহের পরশ,
আমার অন্তরটা হলো পুড়ে ছারখার।
কিছুদিন পরে আমার রুমমেট বলল তোমার আব্বুর হয়েছে ট্রান্সফার,
গুছিয়ে তোমরা ঢাকা ছেড়েছ, হয়েছে দশদিন পার।
খবর শুনে আমার বুকের মাঝে যেন বিঁধল এক তীর,
তোমার বিরহযন্ত্রণায় হলাম আমি পুরোই অস্থির।
তবুও আমি ধরেছি ধৈর্য, হারাইনি বিশ্বাস একতিল,
যদিও আমি কাটাচ্ছি ব্যস্ত সময় জীবন কাটছে জটিল।
জীবনের বেঁচে থাকার সবটুকু জোগাড় করে
আমি দাঁড়াব তোমার সামনে,
সেদিন মনের কথা করব প্রকাশ, জানবে সারা দুনিয়া
হটব না আমি পেছনে।
আমি তোমার প্রতীক্ষায় ছিলাম,
তোমার প্রতীক্ষায় আছি-
তোমার প্রতীক্ষায় থাকব!