আমি মানবতার ফেরিওয়ালা, লিখে চলেছি
সেই সকল নাম না জানা অখ্যাত মানুষের কথা
যাদের হৃদয়ে আছে শুধুই দুঃখ ভারাক্রান্ত ব্যথা
যে ব্যাথার মানবীয় অনুভূতি আমার মনকে অনায়াসে ছুঁয়ে যায় গভীরে।
এটা সেই স্বর্গীয় অনুভূতি যার কোনো স্থান নেই, কাল নেই, পাত্র নেই
আছে শুধুই নির্মম আত্মকথা,
আছে উলঙ্গ কিছু বাস্তবতা
যার প্রতিচ্ছবি প্রতিনিয়ত আমার অন্তরে পীড়া দেয়
যার অনুভূতি আমার নিউরনে অনুরণন সৃষ্টি করে
যার প্রতিক্রিয়ায় আমার শিরা-উপশিরা অস্থিমজ্জায় বইতে থাকে
আগ্নেয়গিরির লাভাসম উষ্ণ রক্তের প্রসবন।
প্রতিবাদের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আমার বুকে
তখন আমি নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারি না,
পারি না থামিয়ে রাখতে নিজের কলমকে।
সকল অনাচার, দুরাচার ও বৈষম্যের করুণ চিত্র
ফুটে ওঠে আমার লেখনিতে
প্রতিভাত হয় আমার সকল অন্তরের জ্বালা
মনে হয় বুকটা চিরে করি ফালা ফালা!
মানে না এ মন
হায় রে, এমনিভাবে কেটে যাবে তাদের করুণ জীবন!
না, না, এমনিভাবে চলতে পারে না সমাজ-সংসার
শোষণের পরাকাষ্ঠা একদিন হবে নিশ্চয় ছারখার।
এক জ্যোতির্ময় আলোর ফোয়ারা অন্তরে ধারণ করে
মানুষ মানুষে মিলেমিশে গড়বে ভালোবাসার তপোবন
যেখানে হিংসা থাকবে না, বিদ্বেষ থাকবে না
থাকবে শুধুই মানুষের প্রতি মানুষের দরদ, সাহচর্য ও সহমর্মিতার একরাশ প্রকাশ।
থাকবে অফুরন্ত ভালোবাসার কোমল পরশ
যার অনুভূতি মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে চিরকাল।