হে পথিক,
একবার থমকে দাঁড়াও
অবগাহন করো চিন্তার গভীরে।
শুধাও, আর কতকাল
নিজেকে আড়াল করে রাখবে তুমি।
বিরত রাখবে নিজেকে
মানবের কল্যাণসাধন করা হতে।
কীসে বাধা দেয় তোমাকে?
বিধাতা তো করেছে দান তোমাকে
মহামূল্যবান এক প্রাণ।
ক্ষয়িষ্ণু জীবনের কিবা আছে
না করলে মানবসেবা প্রাণপণ।
আপনার লয়ে আসেনি কেউ
এ ধরণী ’পরে
প্রতেকে আমরা বাড়াই হাত
একে অপরের তরে।
করছে যে সেবা রুগ্ণ অসহায় মানুষটারে।
বিধাতার কল্যাণ ঘোরে তব দ্বারে দ্বারে।
পারোনি তুমি এখনও করতে আমিত্বকে পার
চোখ বুঝলে দেখবে দুনিয়াটা শুধুই আঁধার।
হে পথিক,
একবার আসো তুমি
মহামানবের সাগরতীরে।
একবার নিজেকে সঁপে দাও
মানুষের কল্যাণে।
সমস্ত লোভ-লালসা,
পরশ্রীকাতরতার দেয়ালকে ডিঙিয়ে
আত্মনিয়োগ করো মানবতার সেবায়, পূর্ণ আস্থায়।
স্বার্থপরতার জঙ্গম সংস্কৃতিকে পেরিয়ে
পুর্ণোদ্যমে নিজেকে চালিত করো
আত্মশুদ্ধির পথে, সেবার মানসিকতায়।
হে পথিক,
মনের সবটুকু জঞ্জাল সরিয়ে,
একবার আসো বৃত্তের বাইরে।
উজাড় করে মনের সকল ইচ্ছা
আসো ঘরের বাইরে, ধরো মানুষের হাত।
দাঁড়াও মানুষের পাশে,
বিশ্বাসের এক পসরা ডালা সাজিয়ে
গেয়ে ওঠো মানবতার গান।
মানুষই পারে বিপদে-আপদে মানুষেরই দিতে
এক দেহ-মন