গ্রামের ছেলে রহিমের ছিল দুচোখ ভরা স্বপ্ন-


সাধ ছিল আকাশছোঁয়ার, বাধা ছিল অজস্র।
বুকে ছিল আশা, মনে ছিল বল, আস্থা-অবিচল
গ্রাম থেকে শহরের পথে তাকে করেছিল সচল।
বিদায়বেলায় মায়ের চোখ করছিল ছলছল
চোখের আড়াল হবে ছেলে ভেবে মন ছিল চঞ্চল।
আবেগে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল মা-


খোকা তুই একদিন মস্ত বড় কিছু হবি, হ্যাঁ।
গ্রাম থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস
করেছিল পণ, শহরে ধরে রাখবে মনের আশা
নটরডেম কলেজে ছিল ভর্তি পরীক্ষা তার
এইচএসসি শেষ করবে দেখাবে চেষ্টা আবার।
দুখিনী মায়ের দোয়ায় সে পেয়েছিল চান্স
করতে হয়েছিল জীবনের কত কিছু ব্যালান্স।
অক্লান্ত পরিশ্রম ও ছিল বহু কষ্টের দিন
টিউশন তিনটি সামলে এগিয়েছে প্রতিদিন।
উচ্চ-মাধ্যমিক শেষে প্রত্যাশা ছিল বেশ
গোল্ডেন এ- প্লাস  পেয়ে মিটেছিল যত ক্লেশ।
ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিঙে পড়বে অবশেষে
ভাবনামতো বুয়েটে ভর্তি হলো যেন বীরের বেশে।
সিভিল ডিপার্টমেন্টে হলো সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট
এমআইটিতে মিলল তার স্কলারশিপ বারোমাস।
উচ্চশিক্ষা শেষে সে বুয়েটের শিক্ষক এখন
মায়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে দেশের লোকজন।
দেশজোড়া খ্যাতি তার বাহ্বা মিলেছে বেশ
মায়ের মতো মা থাকলে নেই সফলতার শেষ।