আমি যে দেখেছি
উঁচু অট্টালিকা, দালানকোঠা শোভিত আধুনিক সভ্যতা।
দেখেছি, চোখ-ঝলসানো গগনচুম্বী ইমারতের পসরা সাজিয়ে
ফেরি করছে পুঁজিবাদী সমাজের নামকরা প্রতিনিধিরা।
আধুনিক সভ্যতার নামে বাহারি ঢঙে সেজেছে আলোকময় রাত্রি।
কাগজের ব্যানারে, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরী
মানবতার জয়গান গাইতে গাইতে।
কিন্তু আফসোস!
বিরামহীন নগরীর এককোণে বসে
ফেরি করছে এক শিশু দু বেলা দু মুঠো খাবারের আশায়।
মাঝেমধ্যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, জীর্ণ মলিন বস্ত্রে, শীর্ণ শরীরে
শহরের অলিতে গলিতে পথে প্রান্তরে ঘুরছে সে।
দু পয়সা রোজগারের আশায় বেঁধেছে বুক, কৈশোরের
সমস্ত স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে কাটছে
তার প্রতিটি দিন।
হাহাকার বঞ্চনা ও শোষণের ছোবলে মুখ থুবড়ে পড়েছে
তার অনাগত ভবিষ্যৎ।
এমনিভাবে প্রতিদিন হাজারো শিশুর বুকফাটা কান্না,
হৃদয়ের আর্তনাদ পারে না মানবতার ধ্বজাধারীদের মনকে
একটুও বিগলিত করতে।
শিশুর মলিন মায়াবী মুখ, যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি
পারেনি কমাতে তাদের কষ্ট মেকি সভ্যতার কোনো রথী মহারথী।
এমনিভাবে চলে মাস, বছর-কাল-


কে ধরবে একদিন এই মেকি সভ্যতার হাল?