রাস্তায় প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম-
থমকে দাঁড়িয়েছিল গাড়িটা।
পাশে তাকাতেই দেখলাম
একটি ছোট্ট শিশু,
খেলছে বসে ফ্লাইওভারের নিচে
শীর্ণ শরীর, পরনে জীর্ণ শার্ট।
কী কোমল মায়াবী মুখ তার
সভ্যতার নির্লজ্জ বাস্তবতা
গ্রাস করেছে তার জীবন
হরণ করেছে তার সবকিছু।
তারও স্বপ্ন ছিল-
আর দু-চার জন শিশুর মতোই
স্কুলে যাবে পড়বে খেলবে,
আগামীর বিশ্ব গড়বে।
কিন্তু কোথায় সে স্বপ্ন?
হাহাকার, নিষ্পেষণে
নিঃশেষিত তার জীবন
দুমুঠো অন্নের জন্য কী কাকুতি মিনতি!
তারও মনে ইচ্ছা ছিল-
মায়ের কাছে পড়বে
পিতার স্নেহে লালিত হবে,
একডালা আবদারের পসরা সাজিয়ে-
বায়না ধরবে পিতার কাছে।
কী দুর্ভাগ্য! নিষ্ঠুর নিয়তির ফ্রেমে
বন্দি তার জীবন।
কে দায়ী?
কিসের দায়?
এ দায় কি বাক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্রের নয়?
নতুন জীবন গড়তে হলে দরকার
সকলের প্রত্যয় সুনিশ্চয়।
শোষণের শৃঙ্খল ভাঙতে
লাগবে আর কতকাল-
বিবেকের দংশনে যুগে যুগে
মোরা হই বেসামাল।
এমনিভাবে সভ্যতার চাকা ঘোরে-
শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস একটুও বদলায় না।
পথের শিশুটা পথে থাকে,
রাস্তায় কিছুটা ফাঁকে ফাঁকে।
ওর পাশে কেউ নেই
ওর দুঃখের সীমা নেই,
এটাই বড় নির্মম সত্য!
ওর কষ্ট বোঝার কেউ নেই,
ওদের কষ্ট বোঝার কেউ থাকে না।