আমি চিরকাল পথ চলেছি রূপসী বাংলার পথে প্রান্তরে,
গাঁয়ের আঁকেবাঁকে, অবগাহন করেছি মনোহারিণী সবুজের মাঝে।
দর্শন করেছি পক্ষী-তরুলতা,পুষ্পদামশোভিত সরোবরে,
দুর্নিবার আকর্ষণে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়িয়েছি প্রকৃতির কোলে।
অবলোকন করেছি নয়নাভিরাম পুষ্পপল্লব শোভিত বৃক্ষরাজি,
শিশিরকণায় প্রতিফলিত হীরকময় দ্যুতির ঝলক-
দেখেছি সবুজ ঘাসের রাজ্যে উড়ছে প্রজাপতি ফড়িং,
রামধনুর সাতরঙে সজ্জিত হয়ে আছে সীমাহীন ব্যাপৃত নীলাকাশ।
বনস্পতির ছায়ায় কেটেছে কত ক্লান্তির প্রহর-
আম জাম লিচুর সুঘ্রাণে পার করেছি মধুময় শৈশব,
কোকিলের কলতানে পেয়েছি বসন্তের আগমনি বার্তা।
ঘন ঘোর বরষায় উজানে দাঁড় বয়েছি স্রোতস্বিনী নদীগর্ভে।
জোছনাময় রজনীতে অবলোকন করেছি নক্ষত্রখচিত তারকারাজি,
জোনাকি পোকার আলতো আলোয় দেখেছি প্রিয়ার চাঁদ-মুখ।
দেখেছি রাশি রাশি ভারা ভারা ধানের ক্ষেতে সোনালি ফসল-
মমতাময়ী জননীর কোলজুড়ে আলো করে দেখেছি শিশুর স্বর্গীয় হাসি।