কে তুমি হে অচেনা নারী!
ঠাঁই করে নিয়েছ নিজেকে
আমার হৃদয়ের গহিনে।
আমি তো চাইনি তোমাকে ঠাঁই দিতে,
কিন্তু বারবার তোমার মুখের
নিষ্পাপ চাহনি আমার অন্তরকে
বিগলিত করছেÑ এতেই অবাক হলাম আমি।
আমি তো চাইনি নিজেকে
ধরা দিতে কোনো রমণীর কাছে,
চাইনি মনের যত আকুলতা আছে
তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে সাহচর্যের ভিক্ষা চাইতে,
চাইনি আমি যুগযুগান্তরের বোঝা হয়ে
কারো সাথে জীবন বৈতরণি পার করতে।
কিন্তু পারলাম না,
পারলাম না নিজের
পাষাণ মনকে স্থবির করে রাখতে,
পারলাম না কঠিন কঠোর হৃদয়ের
অধিকারী হয়ে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে,
পারলাম না ফিরে থাকতে,
শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলাম
হেরে গেলাম তোমার কাছে চিরজনমের তরে,
হেরে গেলাম তোমার দুটি আয়ত চোখের কাছে,
তাইতো পারিনি নিজেকে ধরে রাখতে,
তোমার দিকে এক পলক তাকাতেই
আমার হৃদয়ের সকল মান-অভিমান
বিগলিত হয়ে অশ্র“ আকারে
দু-চোখ থেকে ঝরে পড়তে লাগল।
শেষ পর্যন্ত আমি হেরেই গেলাম
হেরে গেলাম তোমার শাশ্বত প্রেমের কাছে
হেরে গেলাম তোমার কাছে,
শুধুই তোমার কাছে।