পড়ন্ত বিকেল-
লাল রক্তিম আলোয় পরিপূর্ণ আকাশ,
সূর্যের কিরণে মিষ্টি রোদের স্বাদ ছিল।
সাথে ছিল একপশলা ফুরফুরে বাতাস,
হঠাৎ ছাদের ঐ পাশে তাকাতেই-
এক মানবীর আবির্ভাব, মনে হয় অষ্টাদশী হবে।
চোখাচোখি হতেই বিদ্যুতের হিল্লোল বয়ে গেল,
সারা শরীর মনে একপ্রকার চনমনে ভাব।
দাঁড়িয়ে থেকে বোধহয় সূর্যাস্ত দেখছিল,
হালকা হাওয়ায় মাথার চুলগুলো এলোমেলো উড়ছিল।
মুখের উপর এমনভাবে এসে পড়ছিল যেন,
পটে আঁকা বিখ্যাত শিল্পীর নিপুণ তুলির আঁচড়।
দ্বিতীয়বার চোখে চোখ পড়তেই দেখলাম-
মুখের কোণে একটুকরো বাঁকা হাসি,
খানিকটা যেন সৌজন্যের বহিঃপ্রকাশ।
কিন্তু কী নিষ্পাপ মায়াবী মুখখানা-
যেন হাজার বছর ধরে তার অপেক্ষায় ছিলাম আমি।
ছাদে পায়চারির ফাঁকে ফাঁকে মাথার চুলগুলো-
আঙুল দিয়ে সে নাড়ছিল বারবার,
অনেকটা ভিজে চুল শুকানোর চেষ্টা বোধহয়।
আমিও আনমনে তন্ময় হয়ে দেখছিলাম,
হঠাৎ একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল সে।
কী অপরূপ মুক্তো-ঝরানো হাসি!
আজও স্মৃতিপটে অম্লান অক্ষয় সেই হাসি।