কোনো এক রাঙা প্রভাতে
মায়ের কোলজুড়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম
এই পৃথিবীর ছোট্ট একটি কোণে।
স্নেহময়ী মা উজাড় করে দিয়েছেন ভালোবাসা
পেয়েছি পিতার অনুশাসনের শত ফিরিস্তি
তবুও ভালোবাসা ছিল
ঘরের ছোট্ট আঙিনায়।
কিন্তু মনটা বড়ই উদাস থাকত কৈশোরের
দুরন্ত উদ্দীপনায়, যখন দুষ্টুমি ও খুনসুটির
বাড়াবাড়িতে অনুশাসনের চরম অভিঘাত
নেমে আসত এই কোমল হৃদয়ে।
শুধুই মনে হত ভালোবাসাহীন এই বিশাল ধরণীমাঝে
আমিই যত বোঝা!
হৃদয়ের এমন রেশ না কাটতেই
কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে গ্রাম্য
এক তরুণী কেড়ে নেয় আমার হৃদয়-মন।
ভাবাবেগের বন্যায় আপ্লুত হৃদয়ে
বইতে থাকে মান অভিমানের কালবৈশাখীর ঝড়।
যতই দিন যায় মনে হতে থাকে
ভালোবাসা কাছে এসেও থাকে না,
ধরে রাখাও যায় না,
এর সৌরভ যেন মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় আকাশপানে,
বড়ই দুষ্প্রাপ্য কিছু!
তবুও মানে না এ মন
আশার বাণী শুনিয়ে যায়
বাহারি রঙের প্রজাপতির অজস্র দল,
মনমাঝারে বইতে থাকে ঝড়,
হৃদয়ের নদীতে জলের অবিরাম ধারা ছন্দ তোলে,
যেন কোনো স্বর্গীয় পাখি গেয়ে ওঠে বসন্তের আগমনী গান,
মনের আকুলতা ছাড়িয়ে যায় সীমা,
দুচোখ বেয়ে উষ্ণ জলের ধারা ভিজিয়ে দেয় বালিশ,
হঠাৎ চোখ মেলে দেখি,
তুমি আমার পাশে,
খুশির আনন্দে হারিয়ে যায় হুঁশ জ্ঞান,
জড়িয়ে ধরি তোমাকে বুকের মাঝে,
মনে হয় এটাই সেই ভালোবাসা
যাকে খুঁজেছি চিরজনম ধরে,
ভালোবাসার এমন সোনালি পরশ
কোনোদিন আমি পাইনি।