আমি ভ্রমণ করেছি আলাস্কা থেকে সাইবেরিয়া
ঘুরে বেরিয়েছি আদিম গুহায় গহিন অরণ্যে,
সাহারার বুকে পৃথিবীর পথে-প্রান্তরে।
খুঁজেছি তোমাকে মানবহীন জনপদে,
অন্তহীন সাগরের বুকে ঢেউ গুনে গুনে তোমাকে খুঁজেছি;
কিন্তু পাইনি কোথাও কোনোখানে।
ভেবেছিলুম তোমাকে পাব হয়তো সাঁইজির দরবারে-
সাধন ভজন করে তুমি হয়তো হয়েছ সিদ্ধ নারী,
ঈশ্বরের খোঁজে তুমি কতবার গিয়েছ সেখানে,
শেষপর্যন্ত সেখানেও তোমাকে পেলাম না;
এমন পর্দা ফেলে কতদিন লুকিয়ে থাকবে তুমি।
বৃন্দাবনেও পাইনি তোমায়-
তুমি বরাবরই বলতে কৃষ্ণলীলা বোঝা বড় ভার।
শ্রীরাধার অনিন্দ্যসুন্দরকান্তি রূপ বর্ণনায় ছিলে তুমি সিদ্ধহস্ত ।
পরধর্মমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে আমি শিখেছি তোমার কাছ হতে।
মানবপ্রেমের ঊর্ধ্বে কাউকে স্থান দাওনি তুমি।
তুমি কি তাহলে এখন নার্স চাকরিতে কোনো এক অজানা হাসপাতালে!
জানি, নার্সের চাকরিটা বরাবর পছন্দ ছিল তোমার-
মানুষের জন্য ছিল তোমার বড়ই আকুলতা;
মানবসেবায় ছিলে তুমি এক দেহ মন প্রাণ।
তিন পুরুষের ভিটা হারিয়ে সকলকে আপন ভাবতে তুমি।
কোথায় আছ তুমি?
সুমির সাথে শেষবার যখন দেখা হয়েছিল-
তুমি বলেছিলে এতিমদের সাথে বাকি জীবনটা কাটাতে চাও।
নিজে এতিম হয়ে কাউকে মনের কষ্ট বুঝতে দাওনি।
নিঃশেষে জীবনকে বিলিয়েছ অন্যের সেবায়।
তোমার হঠাৎ প্রস্থান-
আমি কখনো মেনে নিতে পারব না।
ফিরে এসো তুমি আমাদের মাঝে,
তোমার আলোয় আমরা ভবিষ্যতের সমাজকে দেখতে চাই।
আলোর দীপশিখা হয়ে এসো মোদের মাঝে চিরন্তন সাজে।