আমড়া কাঠের ঢেঁকি যেন দেখতে এখন
ধান ভাড়ার চিন্তায় কিনেছি কাঁঠাল কাঠ,
হিংসার অগ্নিকাণ্ডেই হলো আমড়ার কাঠ
দেখায় আমড়া কাঠ রঙ ওপাটে ওপাট।


কেউ বলে ধানভানা হবেনা কখনো আর
কেউ বলে কিছু আর হবেকি কখনো আর,
ভেতরে পরীক্ষা করে দেখছি ঠিকই আছে
সমাজের মুখে মুখে কেন কোনঠাসা তার ?


মালিক হয়েছি আমি ধান ভাড়া এই কাঁধে
অনেক ধানের গোলা বানাতে হবেই চাল,
বহুদিন রোদ শুঁকে ভাড়ার সময় এলো,
কাঠের ভেতরে নাকি দুর্বলে দিয়েছে হাল।


বহুকাল মাঠে পড়ে ঝরিয়েছি কায়া শ্রম,
কেউ আসেনি সাহায্য তুলেই এনেছি ধান,
মাঠের উপর সেই অর্থের অভাবে আমি
আদিম ক্ষেত্র ঘামেই ধানে দিয়েছে ভরান।


এখন তৈরি করব ধান থেকে সোনা চাল,
মানুষের কাছে এসে বলে যায় কত কথা,
ধান ভাড়াই হবে না আমড়া কাঠের ঢেঁকি
ফসলের সুভোগের কয় যাবে যেন বৃথা।


কবিতা ২
এক দোষে সবদোষী


এক পুরুষে খারাপ করে সব পুরুষের ঘেন্না গড়ায়,
একটা নারী খারাপ করে সকল নারীর মন্দ ছড়ায়।
এক হজুরে খারাপ করে সব হুজুরের হয় অপবাদ,
একটা হিন্দু খারাপ করে সব হিন্দুদের দেয় অপবাদ।


সব মানুষেই ভিন্ন ভিন্ন কেউতো কারো মিলে না ঠিক,
এক খারাপে সকল খারাপ কেমন মজা হলো সঠিক
নাই পারেন এক কাতারে সব মানুষের দাড় করাতে,
কে জানে কি  মানুষত্ব লুকিয়ে আছে কার ধরাতে।
একটি মানুষ ভুল করেছে তাই বলেকি কাঁদবে দাসে,
কার ভিতরে কে জানে কি সত্যের হাঁসি লুকিয়ে ভাসে।


একটি দেশে অঘটনে ঘটে গেছে ভূমিকম্প,
তাই বলে কি সেই দেশেরই নাম শুনেই হতভম্ব।
একটি পুরুষ র্যাপিট করছে সব পুরুষই অবিশ্বাস্য,
একটি নারী ছলনাময় সব নারী হয় ধারাভাষ্য।
একটি দুষ্ট নষ্ট করে হাজার ভদ্র মুখের মুখ,
একটি চনা নষ্ট করে একটা গামলা দুধের সুখ।


একটি প্রেমিক নষ্ট করে হাজার ভদ্র প্রেম সম্পর্ক
সকল প্রেমিক নষ্টের ভয়ে পথে ঘাঁটে হয় বিতর্ক।