সবুজ লতা ডেকে বলে এই যে পথচারী,
যাচ্ছ কোথায় হাত বাড়িয়ে যাচ্ছ আমায় ছাড়ি।
চলছে পথিক চড়ন ফেলে দেখছে আঁখি মেলে,
গেছে কত হনহনিয়ে আপন চড়ন ফেলে।


উদ্ভিদ বলে জানো নাকি জৈব নামক পুষ্টি,
আমি খেয়ে বেঁচে থাকি থাকে আমার গুষ্টি।
পাখি কী কয় জানো তবে আমার আছে পাখা,
নীল আকাশে উড়ে ঘুরে চড়ি গাছের শাখা।


নদীর এসে ডেকে পথিক কহে বিশাল মনে্
উদাস হয়ে পথকে থাময় হাজার চড়ন জনে।
এলে পথের বন পেরিয়ে কেমন মনে কষো,
আমার তীরে চোখ বাড়িয়ে আসন দিয়ে বসো


নদী কী কয় জানো তবে জড়িয়ে আছি বুকে,
যে যা  না হয়  বলে বলুক থাকি জীবন মুখে।
আকাশ বলে আমার রঙে রং ঝরে যায় নানা,
ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে নাই যে আমার মানা।


পথের কাছে বিল বলে কী আমার আছে সবুজ,
আমার কাছে জন্মে পাতা শিশুর যেমন অবুঝ।
পথে পথে আঁকা বাঁকা পথ গিয়েছে চলে,
যাবে নাকি এই পথেতে? পথ যে ডেকে বলে।


প্রজাপতি হরেক ডানায় বিকলে নিলো কেড়ে,
বলে আমায় উড়বে নাকি আমার দলে ঘেরে।
আমার কি আর সাধ্য আছে তোমার সাথে ছুটি,
ইচ্ছে করে দলে ফিরি ডানা নাই যে দুটি।


বনের কাছে গিয়ে দেখি হাজার ফুলের মালা,
নেবে নাকি হরেক যে ফুল দিতে কাউকে মালা।
সবার কাছে প্রশ্ন করলাম কোন পরিচয় তোমার,
ধন্য আমার এই দেশেতে আমার মতো কে আর।


কে দিয়েছে এত সুন্দর  নামটি তোমার গায়ে,
সবুজ শ্যামার বঙ্গবন্ধু বলে গেছে মায়ে।
হাজার বছর দাঁড়িয়ে রবো বৃক্ষ লতা ছুঁয়ে,
শ্রদ্ধা করি একাত্তরে সেই শহীদের নুয়ে।