বসন্ত হাঁকালো বুঝি শীতের চুম্বন শেষে
চুপচুপে‌ উপস্থিত শেষে বাতাসে গুঞ্জন,
টিভিতে প্রচার হলো সংবাদ পত্রে লেখল
ফেবুর পোষ্টে ছড়ালো‌‌ আহায়-মনোরঞ্জন।


পাখিও গাইলো নাকি দেখেছি ফুল ফুটল
থমথমে অবস্থার শানে করলো বিরাজ,
শীতের ক'দিন আগে যেনো হলুদ গাঁদারা
ফুটে আছে রঙে রঙে করে আঙিনা বিলাস।
দেহের আবৃত করা জনে ঠেকানো ঠাণ্ডার
বসন্ত নিয়ে আসলো মুক্তে ঘরের দুয়ার
বেহায়া ঠাণ্ডা থাপ্পড়ে চলে কত আহাজারি
আজই ক্ষান্ত হইলো বাজি শীতের জুয়ার।


বসন্ত এসেছে কোলে যেনো খুললো দুয়ার
পহেলা ফাল্গুন দিলো তারে বসন্তী আভাস,
প্রকৃতির হালচাল দেখা রূচির ওপিঠে
ফুলে ফুলে কূলে কূলে গন্ধে ছড়াল সুবাস।
কৃষ্ণচূড়াও শিমুলে ফোঁটা আমের মুকুলে
বললো আমাকে গন্ধে শুঁকে বাসন্তী আগম,
কবি সুফিয়া কামাল এক বসন্ত উৎসবে
নিজেকে পেলোনা খুঁজে ফের সতেজ সম্ভ্রম।
আমার বসন্ত যেন ফিরে কতটুকু এলো
মনের দুয়ার খুলি আর তাকাই প্রকৃতি,
বসন্তের ধারে আমি আছি অনেক নিশ্চুপ
বসন্তেও কেনো চুপ প্রশ্নে জানার আকুতি।
আবির রঙে রাঙলো তার ফুলের বিছানা
পাতায় পাতায় বয় চলে সুরের প্রবাহ,
গাছের নতুন পাতা ঝরে পাতা ঝরা শেষে
প্রকৃতির খুঁজে পেলো‌ ফিরে আপনার দেহ।



কবিতা ( ২)
প্রকৃতির কি হলো??


প্রকৃতি শরীরে গন্ধ আগেরটা নেই
কি হয়েছে প্রকৃতির পেট ডেলিভারী
ফুরফুরে ফুল বাচ্চা ছড়াচ্ছে ও গাছ
বাতাসে বিভোর গন্ধ স্নিগ্ধ তায় ভারী।
ঘরের দুয়ারে দ্যাখো হলুদ রঙের
ফুটে আছে গাঁদা ফুল তার অভিলাষ,
পাখি গুলো টুনটান দিচ্ছে আওয়াজ
ঘাসের শরীর নেই শিশির বিলাস।
বসন্ত এসেছে ঘুরে দ্যাখো না নয়নে
আহা গাছে গাছে ফুল, পাখি গায় গান!
আমের মুকুল গন্ধে, প্রকৃতির ঢেউ
বরণ করো না কেন? প্রকৃতির ঘ্রাণ।
নড়াচড়া দেবে গাছ কিছু দিন পরে
শিমুল দেখবে ঝরা গাছের তলায়,
কৃষ্ণচূড়া লাল রঙে জ্বালবে আগুন
দেরি করো না তুমি নেয়ার বেলায়।
প্রকৃতির সুবাসিত গন্ধের আমেজ
নিতে যদি দেরি করো পালবে বসন্ত,
বসন্ত যৌবন তবে যাবে বহুদূর।
বসন্ত দুয়ার খুলো ক্লান্ত করো ক্ষান্ত।