আহত স্বপ্নে জড়িয়ে মরীচিকা চড়ে
আছাড় খাচ্ছি এমন অনাথ শরীরে
আমি নিস্প্রভ সকালে বেদনার নীলে
কাত হয়ে শুয়ে আছি নিঃসঙ্গ গভীরে।


আমার কান্নার শব্দে জেগেছিল রাত
অনেক তারার ছবি, ফ্যালফ্যাল করে
কথাবন্ধু হলো সুপ্ত তিমিরের রাত
বৃক্ষের দেহ পুড়েছে থরথর জ্বরে।


আমি মানুষ হয়েও জড় পদার্থের
মত হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম
মুখ খুলে পটভূমি গলাতে পারিনি
বার বার ঈশ্বরকে বিচার দিলাম।


আমার চোখের জল টপটপ করে
একসময় ঝরতে চোখের গঙ্গায়,
জলের স্রোত আমাকে ধুয়েছে শরীর
কাত হয়ে শুয়ে আছি নির্বিক সঙ্গায়।



কবিতা নং ২
বিরাট আকাশ মনে, তোমাকে কল্পনা করি
স্রোত নদীর মতন, তীরে এসে ডুবে গেছে
আমার বহুকালের আকাঙ্ক্ষার তীব্রতা
ভেসে যাই খর হয়ে ,কষ্ট এসে কাছে মেশে।


সকালে কুয়াশা হয়ে ধুলিসাৎ হয়ে দাঁড়ায়
আমার প্রত্যাশা গুলো ,, হঠাৎ রোদের ছায়া,
নেমে এসে বলে যায় ওপিঠ ভুলে যাও দিন
হৃদয় এর চাহিদা পাহাড় কিছু বুঝেছে