অনেক গুলি স্বপন আমার অনেক অনেক দূরে
আমার ভিতর হাতছানি দেয় চলে ঘুরেফিরে।
কেউকে আমি পাইনা খুঁজে হাতের মুঠোর কাছে
সবই কেবল স্বপন আমার ধীকে ধীকে আসে।


স্বপন আমার ইচ্ছে নয়তো চাঁদের দেশে যাওয়া
চাঁদের হাটে হরলষে অনাবিল সুখ পাওয়া ।
স্বপন আমার ছোট্ট ছোট্ট কুটির ঘরের চাল
রোদ বৃষ্টিতে নাইরে ভিজি বর্ষা ঝরা কাল।
আমার বাড়ির ঘরের পাশের ভাঙার বেড়া ঠিক
ঘরের মধ্যে আলোকিত বাহির চাঁদ ঝিকমিক।
সুখ পাখিটা বড্ড বেশি অনেক অভিমানী,
ধরতে গেলে যায় না ধরা বুঝি অনেক খানি।


কেউরে বলে কি আছে সুখ সুখের টানে অসুখ
সর্দি কাশি লেগে থাকে খক খক তারি মুখবুক।


কেউ বলে কি পুঁজির বড়ো অভাবরে ভাই অভাব
জনম গেলো পুড়ল বৃথা পাল্ট কইরে স্বভাব।
চলতে গেলে হাজার মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়,
শোনবে সবাই নিজের কথা বলতে গেলে বায়।
কতো কঠিন মানুষ দেখি পাশে করে বাস
দেখলে তারে ভালো বুঝি ভন্ডের সর্বনাশ।
কতো বন্ধু কাছের থেকে আপন করে ছিলাম
রং বদলে পাল্টে গিয়ে অমুল্য তা পেলাম ।


কতো ঝরা কতো বৃষ্টি নামে গৃহ ভরে
উঠবে কখন প্রভাত মাখা রোদের জ্বালা পুড়ে।
অনেক বাকি মনে রাখি অনেক অনেক দূরে
তাই নিয়ে তাই কাটছে সময় সময় লইয়া জুড়ে ।
কতো বারই ভাঙছে বিচুক আমার স্বপন গুলি
ভেঙে ভেঙে আবার হাসে হাতে মারে তুলি।


অনেক দূরে মেঘের ডানায় স্বপন গুলি জানায়
অবহেলার ঘ্রাণের দায়ে দূরে গেছে জানায় ।
স্বপন তাহার ঘরের খুঁটি স্বপন পায়ের জুটি
স্বপন ছাড়া পথিক বৃথা মিলেনা জুড় দুটি।
আয়রে স্বপন স্বপন দেশে মিটা মনের জ্বালা
সকল হেয়ের কপাট ভাঙরে বলরে হালার পালা।