পথিক চলে চলার পথে পাও চলেছ পার তালে,
চলার সময় পরে নাকি  চলতে গিয়ে যে খালে।
চুন খেয়ে তার” মুখ হলো লাল, সে দোষে কে  দেয় গালি
কটু বাক্য তখন ছোটে মুখে দিলো যে চুন কালি।


আকাশ চলে বাতাস চলে, চলে নদী বিধানে,
ছন্দ মালা কে শেখাল বলো দেখি কে জানে।
শীতের কালে ছন্দে ছন্দে বিছায় ঘাসে শিশির
কে শেখাল ছন্দ রীতি  কে দিয়েছে নিবিড়।


বর্ষা কালে উথাল পাতাল মেঘ ছুটেছে গগনে,
ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি নামে চুপ চুপ ভেজায় লগনে।
নদী চলে জোয়ার ভাটা সময় মতো আসে,
ভরা খালি নদীর বুকে জলের ছবি ভাসে।


ছন্দ ছড়া জগত জুড়ে লাগে তুমুল গণ্ডগোল,
নিশি রাতে ঘুমের ঘরে কে উ কি বাজায় ঢাক ঢোল।
সবার মেজাজ খারাপ হবে শব্দ শুনে ঘরে,
নিয়ম ছাড়া বিরক্ত সব যা কিছু কেউ করে।


চন্দ্র সূর্য গ্রহ তাঁরা নিয়ম মেনে চলে
সবাই মানে নিয়ম নীতি যেন দলে দলে।
ছন্দ গহীনে এলোমেলো নাই কিছু তার বেশ
লাগেনা আর ভালো টালো সরে পড়ি শেষ।


আমরা যখন দেশ সংগীত সোজা হয়ে পড়ি,,
সারি সারি লাইন করে দারূন সুন্দর করি।
এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকলে লাগে মনে দ্বন্দ্ব
লাইন বদ্ধ দাঁড়িয়ে থাকা এটাই হলো ছন্দ।


ছন্দ ছাড়া সব কবিতা লবণ বিহীন তরকারি,
সে কবিতার পণ্ডশ্রমে করে গেছে কে হকারি?
এ কোন যুগে নবীন লেখে ছন্দ রীতি মানে না!!
হাজার হাজার কাব্য লেখে কাব্য কেন মন টানে না।