চারদিকে ভয়ানক হিয়াল কুক্তার লালচোখ
তাদের ভয়ে কাঁপছে, হাঁটু গেড়ে বুক চাঁপা দম,
নিঃশ্বাসে টেনে উঠার কষ্ট লয়ে ছাড়ি দীর্ঘশ্বাস
অক্সিজেন খুঁজে দেখি এই পরিবেশে আছে কম।
মানুষের নেই গন্ধ শুধু আছে শুধু হিংস্র দাঁত
বিশুদ্ধ বাতাস পুড়ে নিকোটিনের ধোঁয়ার‌ ছাই,
উপাসনালয়ে হয় আশ্রয়ে ভণ্ডের সংঘমিত্রা
মনগড়া বিবেকের বক ধার্মিক শোধায় তাই।
যেখানে শিশুর মত  নিরাপদ চলা পথ নেই
সেখানে সরল লোক পথে পথ চলা কষ্টকর,
সেখানে হিয়াল কুত্তা ছাড়া কিছু আছে -বাকিমাত্র
স্বচ্ছতার প্রয়োজন করতে চোখ বলিষ্ঠ ধর।
যেই গৃহ পরিবারে শুভাকাঙ্খী বলে কেউ নেই
সেই গৃহে অধিকার তার জন্য এক ঠাট্টা মাত্র,
পৃথিবীর সর্বোপরি যেই যোগ দেবে মূর্খতার
হয়তো তখন স্রষ্টা  চোখ দেবে যার ওইসব।



কবিতা ২✓
যাদের সাথে যুদ্ধ হলো
তারা দিলো স্বীকৃতি,
অথচ দেশে বাস করেও
মুক্তির করায় বিকৃতি।


দেহের মধ্যে দেশের বীজন
খেয়ে হলো পূর্ণ,
মায়ের মত পেয়ে সেবা
দেশ করছে চূর্ণ।


গরিব দুঃখী সর্বোপরির
চলবে দেশটা এক পাক্কা,
প্রবেশ করলে উচ্চস্তরে
সাধারণকে দেয় ধাক্কা।


দেশের নেত্রী দেশের মন্ত্রী
ফিরে দেখো বিদেশে,
শান্তির বিরাজ ক্যামনে করে
চালান দেশটা সে বেশে।


বাঙালী জাত অধিকাংশ
মায়ের মত দেশটাকে,
নিজের স্বার্থে নষ্ট করায়
ভাবমূর্তির বেশটাকে।


কবিতা ৩✓


আগের দিনে ময় মুরব্বি
গোনতো বাংলা মাস,
সময় মত চাষাবাদে
ক্ষেতে জুড়তে চাষ।


এখন সবাই ইংরেজীতে
গোনে বাংলা মাস,
ভুলে যাচ্ছে বাংলা গোনা
হচ্ছে সর্বনাশ।


আজ পহেলা বৈশাখ এলো
এলো নতুন বছর,
মুখে বলে মুই বাঙালি
নিজকে করে গোচর।


পান্তা ইলিশ ভর্তা ভাতে
নিত্য যারা খাই,
তারা খাঁটি ঠিক বাঙালি
জাতিতে সবাই।