জন্মভূমি তোমার
- মোঃ মুসা
শতো দুয়ারের শতো জানালার কাছে
উঁকি দিয়ে দেখি- আমার জন্মভূমি
সবচেয়ে তুমি শ্রেষ্ঠ জাগাও সুধা-
আমার অঙ্গে ঢালো চুম্বনচুমি।


কেবা দিতে পারে মমতার অকুলান?
যেই গান গাই ছবিতে ভেসেছে প্রাণ
আর কোন দেশ দোয়েল ডাকে না দেখি
গোধূলি বেলার মেঘ নীলেই বিলান।


দেখেছি চক্ষে সবুজের মাধুর্য
শীতল করেছে জোয়ারের জলাশয়,
মাটির স্নেহৃ ধারণ করেছে হিম
প্রকৃতির রঙ মেখেছে যে অতিশয়।


শতো দেশব্যাপে চিন্তার ছবি আঁকে
তার চেয়ে বেশি তোমার বাহন চলে
তোমার শ্রেষ্ঠ লালন পালন আর
মায়া দিয়ে রাখো নিজেস্ব কৌশলে।


তুমি ছবিরও চেয়ে অধিকতো রমো
পৃথিবীর যতো ছবির শ্রেষ্ঠ ছবি
পৃথিবীর যতো হাসির শ্রেষ্ঠ হাসি
কিরণের মতো আলোকের ভাসা রবি।


রক্তিম সূর্য
- মোঃ মুসা
বাংলায় একটা সূর্য হয়েছে উদিত,
সবুজ আলোর মধ্যে চকচকে সোনা,
যেথা বীর্যবান্‌ ত্যাগী সত্য প্রবাহিত।
শহীদ মৃত্যুর সংখ্যা নেই সব গোনা
করেছে মুক্তির প্রান্ত বীর মুক্তিসেনা।


এই সংগ্রামী ভূমিকা করেছে কল্পনা,
শ্লোগানে সংগ্রাম হলো মুজিব নিবীত,
মিটেছে ফ্যাসাদ চক্র মিথ্যার জল্পনা
নিদ্রিত শহীদে রাখি চির সংবর্ধনা।


এসেছে মুজিব বর্ষ শ্রেষ্ঠ বাঙালির
যার জন্য হলো বঙ্গ মুক্তির দুয়ারে
এই মহান নেতার জন্ম অহংকারে
যার নেতৃত্ব মিছিলে মিলেছে মুক্তির।


হাজার বছরে শ্রেষ্ঠ বাঙালি মুজিব
তুমি একটি ভাস্কর্য বাংলার প্রদীপ।



ভোলা জেলা
- মোঃ মুসা
নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে থাকি, চতুর্দিকে জলঘোলা,
সবুজে শ্যামার কোলে, এই দ্বীপাঞ্চল ভোলা।
অন্ন জেলার সংযুক্ত, ফারাক এইতো জেলা,
আছে নিজস্ব সাংস্কৃতি জীবন যাপনে মেলা।


সোনালী ইলিশ ধরে মেঘনার ভরা জালে,
মনের চাহিদা মেটে‌ ধরে মাছ কালে কালে।
মাঠঘাটে ফসলের করায়‌ হাঁসি সংগ্রাম,
অপরূপ সৌন্দর্যতে লীলাভূমি অভিরাম।


কত জ্ঞানীগুণী এই জন্মেছেন‌ মহাকাল,
সর্বসেরা বীরশ্রেষ্ঠ ছেলে মোস্তফা কামাল।
তিনি আমাদের এই বাংলা দেশেরই গর্ব,
এই বীর সন্তানেই সর্বোচ্চ সন্তানে সর্ব।


আমাদের ভাষা যেন কত না সুন্দর কথা,
বইয়ের পৃষ্ঠা খুলে গল্পে মিলে যায় তথা।
মধুর আলাপে যেন কেউ ভরে যায় মন,
এ যেন শেকড়ে টান কথার গোড়াপত্তন ।


প্রকৃতির কোলাহল নিঃশ্বাসে চায়বা কারো,
ঘুরে যেতে পারে কেউ ভোলার এই প্রান্তরো।
নিজকে ফেরার যেন সবে শেকড়ের টানে,
সবুজে শ্যামার কোলে এসো বলি গানে গানে।


বাংলা ভাষা,
- মোঃ মুসা
মায়ের ভাষা বলতে গেলে কে না পায় আর আস্তা
এই ভাষা কে রাষ্ট্র জুড়ে করবে কে আর খাস্তা।
কলম ছাড়া খাতা ছাড়া  স্কুলে যাওয়া ছাড়া,
শিখছে মায়ের মুখের থেকে কাইরা নিবে কারা।
এই মমতা হৃদয় জেগে উঠে ছিলো বুকে,
শোনছে যখন অন্য ভাষা চাপিয়ে দিবে মুখে।


এমন খবর বঙ্গ গোষ্ঠীর  শোনে কানাকানি,
ছাত্র গুষ্টি সোচ্চার হচ্ছে হলো জানাজানি।
কার্পু জারি ভঙ্গ ঢাবির ছাত্রে নামায় র্যালি,
নিষ্ঠুর হয়ে পাষণ্ডরা চালায় দেহে গুলি।
জীবন গেলো শহীদ হলো রক্তে গেলো ভেসে
পারেনি আর চাপিয়ে দিতে মুখে অবশেষে।


ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ শহীদ মিনার থেকে,
হাজার ফুলের শ্রদ্ধা জানাই হাজার ফুলকে রেখে।
মায়ের ভাষা রক্ষা করতে দিলো যারা প্রাণ,
বেজে ওঠে আমার ভায়ের রক্তে রাঙা গান।




একুশ আমার
- মোঃ মুসা
একুশ আমার মায়ের কহন
উপলব্ধির টান,
একুশ আমার বিসর্জিতর
আপগা রক্ত স্নান।


একুশ আমার হলুদ গাঁদার
ফেব্রুয়ারীর নোটে,
বিলিয়ে দিতেই শহীদ মিনার
অঢেল অঢেল ফোঁটে।


একুশ আমার কৃষ্ণচূড়ার
লাল বিজড়িত রং,
শহীদের সেই জেগেছে রক্ত
ডালে ডালে বিচরণ।


একুশ আমার বাংলা ভাষার
আত্মত্যাগের ছক,
একুশ আমার একুশে মেলার
একুশের ই পদক।


একুশ আমার সকল কবির
লেখনীর প্রিয় ভাষা,
একুশ আমার কাব্যগ্রন্থে
আমার বাংলা ভাষা।




একুশের দিনে
- মোঃ মুসা
বাতাসে কিসের ঘ্রাণ? এতো এইদিন
একুশে ঘটে যাওয়া- অমর রক্তের,
এই রক্ত জমা আছে সন্ধ্যার আকাশে
লালরঙ ছেঁয়ে গেছে পড়ন্ত অক্তের।


এই দিন কৃষ্ণচূড়া ডেকেছে স্মরণে
লাল হয়ে ফুটে আছে ডালের আসন,
হলুদ গাঁদা গোলাপ প্রচুর ফোঁটায়
স্বর্ণ সম্মানে তাদের করেছে ধারণ।


প্রথম ফাগুন পাখি থাকে নিস্তব্ধতা
হঠাৎ গুলি শুনেছে, একটি একুশ,
বহুদিন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে দূরে
ভাষা,প্রাণ নেয় যদি, পাক কাপুরুষ।


পাখির মায়ের ভাষা পাখির গলায়
ফাগুন এলে ডেকেছে ,শিমুল ডালের
শহীদের রক্ত গুলো শিমুলের ডালে
যুগযুগ জেগে ওঠে জনম কালের।


আমাদের মাতৃভাষা, মধুময় বাংলা
মায়ের ভাষার জন্য প্রথম সংগ্রামী



মোস্তফা কামাল
- মোঃ মুসা
হঠাৎ করে কোথায় যেন ছেড়ে গিয়েছে বাড়ি,
আর ফেরেনি ঘরের কোণে নিরুদ্দেশ তারই
বাবা ছিলেন হাবিলদার খুঁজে ছিলেন রোজ,
কোথায় থেকে কেউ দিলো না একটু তার খোঁজ।


যখন তার সৈন্য পদে চাকরি খানি হলো,
বাবা মা তার ঘরের কোণে খোঁজখবর পেলো।
দেশের বুকে যুদ্ধ শুরু পাকের মুখে লোক,
ছেলে তখন সেনাবাহিনী দিয়ে ছিলই যোগ।


গোলা গুলির শুরু হইলো শত্রু মুখোমুখি,
নিরাপদে পাঠায় সাথী একই নিলো ঝুঁকি!!
সাহস আর দেশের পণে ঝাঁপিয়ে পরে রুখে,
বুলেট তার ফুরিয়ে গেলে লুটে মাটির বুকে।


খবর এলো হঠাৎ করে আর যেওনা নিদ,
তোমার ছেলে দেশের তরে হয়ে গেছে শহীদ।
আর হলো না বাড়ির ফেরা বাবার ছেলে জ্যেষ্ঠ,
সেই ছেলেটি বাড়ি ফিরলো হয়ে-বীরশ্রেষ্ঠ।



বৃষ্টি এলো খাল পেরিয়ে মাঠ পেরিয়ে ঘাট পেরিয়ে
- মোঃ মুসা
বৃষ্টি এলো খাল পেরিয়ে মাঠ পেরিয়ে ঘাট পেরিয়ে
সন্ধ্যাবেলা সকালবেলা মধ্য দুপুর
সৃষ্টি কেমন জলের খেলা
থমকে গিয়ে মেঘের দলা একটি নজর দৃষ্টি দিয়ে
পথের বাঁকে বৃষ্টি এলো সৃষ্টি করতে
মাটির শরীর রুগ্ন করতে বৃষ্টি এলো
বর্ষা দিতে ঘষা দিতেই গাছের উপর
ঝড়-বাতাসের হামলা নিয়ে


টিনের চালে বৃষ্টি আসে ঘরের ছাদে
বিলের কাছে পুকুর ভরা জলের কাছে
রাখাল ছেলের গরুর পালে
বৃষ্টি আসে জমির কাছে বৃষ্টি আসে মুঠো ভরে
হঠাত করে না জানিয়ে না বাজিয়ে
হঠাৎ করে মেঘের বুঝি ঘন্টা বাজায় গুড়ুম গুড়ুম
থমকে গিয়ে এমনি দাঁড়ায়
বৃষ্টি আসে বর্ষাকালে বৃষ্টি আসে সৃষ্টি করে
সবকিছুরই দৃষ্টি দিয়ে মাঠের উপর ঘটের উপর


টাপুর টুপুর সকালবেলা মধ্যদুপুর বৃষ্টি আসে
লীলাখেলা বৃষ্টি আসে সন্ধ্যা বেলা বৃষ্টি আসে
রাতের বেলা হঠাৎ করে আকাশটাকে থমকে দিয়ে
ঝলসে ওঠে বৃষ্টি আসে সৃষ্টি করতে পথ চলাতে সর্বনাশা


জন্মভূমি
- মোঃ মুসা
সবুজ আঁচল ধরে বৃক্ষের হাতকে
ধরে ফেলেছি একলা ক্ষণিক বেলায়!
গরমে বাজে অবস্থা শরীরের অংশে
মাথার উপর দেখি মেঘের ভেলায়।


অপদার্থ হয়ে আছি বুঝতে বন্ধুর
নিরবতার আখ্যায় বিষাক্তের দুঃখ,
গড়াগড়ি খাচ্ছে মনে সকাল বিকেল
কোথায় মেলবে বিন্দু স্বস্তিকর সুক্ষ্ম।


প্রকৃতি আমাকে দেয় সহসা যৌবনে
সামনে চলার জন্য দিতেছে শান্তনা,
সবুজ আঁচল এসে নিঃস্বার্থতা মনে
তখন আগলে দেয় সম্মুখ প্রেরণা।


এই বাংলার মাটিতে প্রকৃতি স্বজনে
কাছে টেনে নিয়ে তার দুঃখ মুছে দেয়
আপনার করে পাই প্রিয় জন্মভূমি।


সময়ের কথা
- মোঃ মুসা
শিশিরে জল দেখেছি সবুজ খোঁপায়
দূর্বা ঘাসের যোয়ান অঙ্গের চাদরে,
বিছিয়ে লিখেছে আজ সকালের ঘরে
রাতে জড়িয়ে পরেছে পরম আদরে।


সরিষার ফুলে কেবা? হলুদ মাখাল
অম্বর থেকে ভূতলে মেঘের বর্ধন,
হাতের কাছে এনেছে বাংলার সকাল
দুই হাতে মুঠো ভরে করেছি গ্রহণ।


প্রকৃতি নিজের গুণে দাঁড়িয়ে ঠেকেছে
উর্বর পুষ্টি খাবারে শরীরে সৈনিক,
এমন ধনী প্রকৃতি আর কোথা আছে
ওরাই ছাহেন শাহ বাংলার কৌণিক।


মাটির গালা শুকিয়ে খসখসে জিব
একটি শিশির বিন্দু বহু প্রতীক্ষিত
নিজের জরুরৎ ওঠে জীবন বৈশিষ্ট্য
বাংলার প্রকৃতি রুপ ধরে ওতপ্রত


পরিপাটি আহো চষার রচনা স্মিত
পতগ আমুদে ডানা মেলে গাঁয়,
হরিত জাগানো জমি চেনা মাঠ চাঙ্গা
এই মাঠে তাকিয়ে প্রশান্তি ডেকে যায়।


সরিষা ফুলের হলুদ মাখাল হোহো
বিষ্ময়ে হয়ে গড়ায় বাহবা ছবি,
শালিক, - উড়ন্ত উড়ে পায়রা
ক্যামেরা না চোখে ধরে সুগন্ধে কবি..


গোনতে গিয়েছি সরিষার ফুল গুলো
মনে হয় যেন হলুদ আকাশে আছি,
হলুদ তারার গোনতেই ভুল করেছি
কতগুলো গোনা মুশকিল মাঠবাসি..


পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নীরবে নদী
হেঁটে যায় জল সমুদ্রে পেটে,
বক, মাছরাঙা চুপচাপ বসে আছে
পুঁটি পেলে খায় সারাদিন খেটে...।


ঘন কুয়াশায় হারিয়ে গেছে সীমানা
দূর দেখা আর যায় নাকো দূর,
দূর্বা ঘাসের কোমল পাতার কাছে
শিশিরের ফোঁটা জল ঝরে ঝুর ঝুর।



মায়ের থেকে শিখছি যত
বর্ণ মালা অক্ষর,
আর কী দিতে পারে এমন
অন্য ভাষায় টক্কর।


নিজের ভাষা বলা সহজ
মনের যত ব্যক্ত,
অন্য ভাষায় বলতে গেলে
লাগে বড় ত্যক্ত।


পাখির মায়ে ভাষা শেখায়
পশু শেখায় বুলি,
মায়ের থেকে যা-ই শিখি
মুখটা তখন খুলি।


মায়ের ভাষায় গল্প লিখি
লেখে কবি কাব্য
মায়ের ভাষায় ছড়া পড়ি
তা ছাড়া কি ভাববো।


আমরা যখন বাঙালি ভাই
কথা বলি বাংলায়,
নিজের ভাষার অধিকারে
প্রাণ গেলো যে হামলায়।


বীর বাঙালি আমরা যে ভাই
মানছি কবে হার,
জীবন দিয়ে মাতৃভাষার
রক্ষা হলো তার।


সালাম রফিক দাবি করে
নিজের ভাষা মুখে,
পুলিশ তখন তাদের উপর
গুলি চালায় বুকে।


রক্ত দিয়ে লাল হয়েছে
বাংলা পথের গলি,
মাতৃ ভাষার জন্য তাদের
প্রাণ যে গেলো চলি।


ছাত্র সমাজ উঠছে জেগে
মনে প্রাণে শক্ত,
মায়ের ভাষা রক্ষা করতে
ঝরলো কত রক্ত।


ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে
যে সকল তার যোদ্ধা,
তাদের তরে আমরা যে আজ
জানাই গভীর শ্রদ্ধা।



পাতা ঝরা দিন
- মোঃ মুসা
পাতা ঝরা দিন চাক্ষুষ দেখা কয় জনে জোটে,
অনাবিল সেই আনন্দ ঢেউ নিজ কে ঠেকায়,
আম্র বনের ফুলে বিপ্লব চলে শ্রেণী রেখা
কুড়ি বর্ধনে তরুণ মুকুল আমাকে দেখায়।


সরিষা বর্ণ ধূসর হয়েছে বুড়ো হয় ক্ষণজীব
বিদায় নিয়েছে কয়েক দিনেই সরিষার চাষ,
কচি অঙ্গজ ধানের গোছাই চেহারা দিয়েছে ভাসন
মনে হয় ওই এবার দাড়িঁয়ে সবুজ আকাশ।


মেহগনি পাতা ঘরের দুয়ারে পাঠায় অনেক চিঠি
বিনা খামে যেন বাতাসে উড়ছে লেখা ফাল্গুন মালা,
গাছের অঙ্গে ফাল্গুন কহে নতুন পোশাক পড়ো
এক বছরের জন্য জড়িয়ে থাকার এক্ষুণি পালা।


দক্ষিণ বায়ু আগাম দিনের শুভেচ্ছা টুকু ছাড়ে
বৃষ্টি বাতাস আর তুফানের নকশা খেলায় মনে,
সুখের দিবস পেরিয়ে প্রকৃতি আগামী কপাট কাঁপে
নতুন মুকুলে ডাল পালা গঁজে মজবুত কাল ক্ষণে।



বাংলা ভাষা আমার ভাষা
- মোঃ মুসা
আমার মায়ের মুখের কথা এমন মধুর ভাই,
শুনে আমার হৃদয় গলে এমন যে আর নাই।
মায়ের থেকে কুড়িয়ে পেলাম মাতৃভাষার ধন,
বলি লিখি যা-ই করি তাতে ধরে মন।


চাষার ভাষা চাষীর ভাষা কামার কুমার জেলে,
অনর্গল যে বলতে থাকে মায়ের বুলি পেলে।
চর্যাপদের পুস্তক থেকে বাংলা আমার সৃষ্টি,
তারও আগে বাংলা মুখে ছিলো অঞ্চল দৃষ্টি।


বাংলার সাথে যুক্ত হলো বিদেশী সব ভাষা,
খাটি বাংলা শব্দ আমার না হারানোর আশা।
বাংলায় বলি বাংলায় লিখি বাংলায় করি ভাব,
বাংলার সাথে সন্ধি করি খেয়ে থাকি খাপ।


বাংলা আমার মুখের ভাষা বাংলা আমার বোল,
কেউ পারেনি কাইরা নিতে করে শোরগোল।
বাংলা ভাষার নানান যে রুপ অঞ্চল ভেদে চলে,
শুনলে আমার মন কেড়েছে যখন তারা বলে।


হাজার কবির মনের ভাষা ফুটে উঠে ব্যক্ত
এত রকম সাজিয়ে তুলে কোথায় আছে দেখ তো?
রুপে সাজায় গুণে ছড়ায় সাজিয়ে ভরে মনে,
হাজার মনের কথা শুনি দাঁড়িয়ে একুশ ক্ষণে।


ফিরে দেখা ৭১


আঁধার খসে পরেছে ভোরের শরীর স্বাস্থ্যে
ভূপৃষ্ঠ ছিলো অনাথ শিশুরা আশ্রম নামে,
মায়ের আঁচলে শাড়ি স্নেহের চোখ সাব্যস্তে
প্রভাতী আবির রঙ অদ্ভুত আকারে থামে।


গোলা বারুদ বিকট ঝাঁঝালো গন্ধটা
কলিজা থেকে রসটা শুকিয়ে গিয়েছে নদী,
মৃত্যুর মিছিল হতো নির্বাক আঘাত থেকে
পাকের হিংস্র চরিত্র কাঁপছে সত্যের গদি।


বোনের ইজ্জত লুটে প্রাসাদ মেটায় জিহ্বা
যুদ্ধের অস্ত্র ঠেকিয়ে নিভিয়ে প্রদীপ হাতে,
অসভ্য জাতি গঠনে উস্কানি দিয়েছে
এদের ধর্ম মিথ্যার আশ্রয় বেসাতি খাতে।


মায়ের সন্তান আঁকে রক্তের উপ্রে পতাকা
বোনের ইজ্জত থেকে গর্জে সহোদর ভাই
মায়ের বুকে মেরেছে কিছু লাথি চড় ছেলে
পরজীবী যুক্ত হয়ে তারা বাজালো সানাই।


বড় আফসোস কেঁদে ঝরে মায়ের আঁচলে
এই সবুজ আসর হারা হবে নিজ পরিচয়,
নিজের গোষ্ঠী বিরোধী বখাটে সন্তান
জয় বাংলার স্লোগান ভাঙতে ছিল অধ্যায়।


আঁধার সরিয়ে মুক্তে উজ্জ্বীবিত জাতি
সোনালী হলফ পড়ে জেগেছে প্রভাত
মুক্তের স্বপ্ন দেখেছি বাঙালির মনে
পঞ্চাশ বয়স আজ এগিয়ে দুহাত.....


ধাত্রী
- মোঃ মুসা
তোমার চিন্তা খচিত পতাকা মিছিল
রক্তের জয় বাংলার রসায়ন ঝরে,
একটি স্বচ্ছ ব্যাবস্থা চাই মোতায়েন
শহীদ এর রক্তের বিনিময়ে তরে।


বিনীত শ্রেষ্ঠ আমার অঙ্কিত পতাকা
দুর্নীতি মস্তিষ্ক হীন উত্তেজনা চাই,
পৃথিবীর সবচেয়ে চাই স্বাস্থ্যবানে
চিত্তাকর্ষ বাংলাদেশ হৃদয় বাজাই।


তোমার আমার মিল বন্ধন কাঠামো
চাই মজবুত শক্ত ইতিহাস গাঁথা,
অন্যায় অধ্যায় ক্লাস হয়ে নিয়ন্ত্রণ
শ্রেষ্ঠ সভ্যতা উদ্ভব অভিধান পাতা।


আমার দেশ আমার বড় অহংকার
সবুজ শ্যামল আর স্বর্ণ পরিবেশ,
নদী মাঠ ফুল ফলে জড়িয়ে আবৃত
আমার দ্বিতীয় ধাত্রী মা বাংলাদেশ।