তোমার ছায়ার নীচে ঠেকিয়েছি মাথা
তোমার সুগন্ধ এসে জুড়িয়েছে প্রাণে,
তোমার সারাটা অঙ্গে মেখেছি শরীর
ফিরে যাই পথ ধরে সংসারের টানে।


এই মাঠ ভালোবাসি এই যে সবুজ
এই বন ভালোবাসি ঘন নীলকাশ,
এই ফুল ভালোবাসি ধীর পরিবেশ
ভালোবাসি নদী নালা সুষম বাতাস।


এই পথ ভালোবাসি সীমানা বাড়িয়ে
এই দিগন্ত ছুটেছি পলক ছাড়িয়ে
আঁকাবাকা পথ দিয়ে চলেছি গন্তব্যে
যতকিছু দেখা হয় গিয়েছে হারিয়ে।


নিখাদ পথের সোনা দিয়েছে পরশ
বর্ষার মসৃণ জলে ধুয়েছি দুইপা,
ধুয়েছি হাতের ধুলো ধুয়েছি এ মুখ
উজ্জ্বল করেছে অঙ্গ ধুয়ে দিয়েছে যা।


পাখির মধুর সুরে মুখরিত বন
বনের কাছে সবুজ দিয়েছে ভাসন,
দিগন্ত দিয়েছে খোলা মুক্তের জানালা
দূর্ব ঘাস দিয়ে গেছে বসার আসন।


কবিতা
দুই


বড় ভাই ছোট ভাই লাগলো তুমুল দ্বন্দ্ব
কেউ আসেনি থামাতে একটু করতে বন্ধ,
কেউ দিলো উসকানি কেউ দেখেছে নাটক
লাগলো দুজনে পিছু কেউ করেনি আটক।


কাকে ধরে কাকে খায় যেন হিংস্র ‍দুটো থাবা
ছোটর নিকট শশুর বড়র নিকট বাবা,
বাজারে দোকান দিতো দুটো মাছের আড়ত
কাকে ঠেলে বড় হবে তালাশ করতো পথ।


এমন করে অপরে নামলো পিছে ভাইরে
কিছু পূর্বে মিল ছিলো এমন দৃশ্য নাইরে
হটাত করে হায়রে ঘটলো এমন কিছু
হত্যার চেষ্টার তারা ছুটেলো তাদের পিছু।


আব্বাস বলে  ওইতো ফেরাউন যায় হেটে
ছোলাইমানে প্রেক্ষিতে ষড়যন্ত্র খুঁজে যায়
সংঘ মিলে দুইজন মারতে করলো চেষ্টা
শশুর ছিলো প্রেক্ষিতে বড় মাপ ‍উপদেষ্টা।


ছোলাইমানে দিয়েছে বউকে দিয়ে মামলা
শুরু হলো পুলিশের নিত্য দিনের হামলা
কোট কা চারি মা বাবা তার নিত্য দিনে যায়
এই অবিচার থেকে তাকে ফেরাউন বলে যায়।


এমন করে চলেছে বহুদিন আর তাতে
হটাত করে হারুনে বাঁধলো এক ঝগড়া
আব্বাস গিয়ে সেখানে  তার সঙ্গ দিলে তাকে
সেদিন রাতে আব্বাস দোকানে পড়ে ঘুমিয়ে


পরের দিনে সকালে খবর আসে বাড়িতে
মেরে ফেলে আব্বাসকে বাজার দোকান পাঠে
আমরা গিয়ে দেখেছি ঝুলে গলা দড়ি দেয়া
পুলিশ এলো তখন লাশ নিয়ে গেলে মর্গে
সবাই ছিলো হতাশ সেই পরিবার বর্গে।


মামলা হয়েছে হত্যা অনেক আসামী করে
সেই আসামী করেছে বাদীর পক্ষ হামলা
শুরু হলো আমাদের মামলা খাওয়া শুরু
হারুন বাবাকে দিয়েছে আরেক মহিলা মেরে
মামলা দিয়ে তাদের হাজত খানা পাঠায়


তখন আমার বয়স  তোরো চোদ্দ তার মধ্যে
ছুটে গেলাম তাদের ছাড়িয়ে আনতে কোটে
বহু ঝামেলা পেরিয়ে করছি তাদের মুক্ত
আমি ছাড়া ছিলো নাহি কঠিন দিনের বাটে।


জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে গেলো বিদেশ
নিজের নামে মামলা তদবির করা শুরু
শেষ করেছে নিজের নাম কেটেছে মামলা
বিপদ থেকে উদ্ধার হয়ে গেছে তার দিন


এখন আমি বাসায় দিলো আমায় মামলা
নতুন একটা নাটকে সাজিয়ে দিয়েছ তার
আমি ছিলাম অবুঝ না এত কী হয় বুঝি
হরুন আর সেখানে চার্জশিট পক্ষ হীন
হারুন দালাল দিয়ে চার্জ সিট দেয় তথা


কৃতঘ্ন হারুন দেখে আকাশ ভেঙে পড়ছে
প্রতিবাদ করে দেখি বাবা হারুন স্বপক্ষ
বাঁধলো শুধু ঝগড়া লাগলো আমার পিছু
এবার হারুন আমাকে মারার জন্য উঠছে
সতরো সালে গুন্ডাকে করে হারুন জোগাড়


জেনে গেছি শত্রু থেকে যেন করে উপকার
হায়রে মানুষ হায়রে কাকে বলি এই কথা
খোদার কাছে দাঁড়িয়ে যেন তার নীরবতা
তারপরে আমাকেই করলো তাবিজ নাম
নানা সুরে গান গায় আর চলে বদনাম


এখেনো হিংস্র থাবার ভয় এসে বুকে বিঁধে
কতটা জুলুম হলে খোদা মুখ ফিরে চাবে