চাষার ছেলে চাষা হবে দুঃখীর ছেলে দুঃখী,
চাকরিজীবীর সন্তান হবে, হবে চাকরি মুখী।
দেশের ভিতর মুক্তিযোদ্ধার চেতনা আজ কই,
বুকের তলে পাথর চেপে ঘরে বসে রই।

একটা ঘরে সকলে আজ চাকরি করে খায়,
অন্য ঘরে বেকার বলে ভাত খুঁজে না পায়।
হায়রে সোনার বাংলাদেশে দেখরে তোরা দেখ,
এমন কিছু বলছে নাকি টুঙ্গিপাড়ার শেখ।

নারী কোটা দিতে গিয়ে পুরুষ বেকার খায়,
সেই পুরুষের ঘরের নারী ভাত খুঁজে না পায়।
ছেলের মায়ে দোয়া করে চাকরি হলে বাবা,
থামবে বুঝি এই গরিবের অভাব নামে থাবা।

মুক্তিযুদ্ধের কোটা নিয়ে মোর অভিযোগ নাই,
তাদের জন্য বাংলা হলো গর্ব করি ভাই।
বাকি সকল কোটা গোটা জালিয়াতির কূলে,
মনে হচ্ছে দেশের তরে জন্ম হলো ভুলে।

সেই ছেলেটির মাও একজন তিনি একটা নারী,
সে নারী কেন অসহায় এক কেউকি বলতে পারি?
পোষ্য কোটার ফাজলামোতে মুক্তিযুদ্ধের তরে,
অবাক হয়ে নব জাতক অভিশাপ নেয় ঘরে।

এই দেশেতে জন্ম বলে আমায় করে ধন্য,
অসহায় আজ বৈষম্য ভাই নানা কোটার জন্য ।
এই প্রকৃতির রূপ দেখে ভাই হলাম আমি ধন্য,
বৈষম্যতে অসহায় এক শুধু এটার জন্য।