অংশে অংশে ভাগ হয়ে যায় চাকরি বাকরি গোটা,
শক্ত হয়েই  দাঁড়িয়ে থাকছে রয়েছে যখন কোটা।
বাপের সুত্র সন্তান পায় মায়ের সুত্রে কোটা,
অন্য চাকরি দরকার নেই সরকারি টাই মোটা।


যোগ্যতা নেই দক্ষতা নেই আছে কেবলই কোটা,
পড়ার মূল্য শ্রম কাতর তাদের অশ্রু ফোঁটা।
নারী পুরুষেই সমান হকের করছে বিধান নীতি,
চাকরির ঘরে খুব অধিকার দেখায় করুণ প্রীতি।


সংবিধানের উনিশ শাখায় নারী পুরুষেই সমান,
চাকরি নিয়োগে পুরুষের কেন অধিকারকে কমান।
সংবিধানে ঊনত্রিশেই নিয়োগ সমতা রবে,
তাহলে কেনেই কোটায় গোটায় বৈষম্য কেন তবে??
বঙ্গবন্ধু দেখিনি আমরা শুনছি সত্য ভাষণ,
দুর্নীতি আর জালিয়াতি যত ভাঙতে বলেছে আসন।


বঙ্গবন্ধু হারিয়ে আমার দুর্ভাগা এই  জাতি,
দিনের বেলায় আঁধার নমায় হারাই গৃহের বাতি।
এদের ভিতর দুর্নীতি বাজ চুপ পেতে আছে ওঁত,
লুটে নিবে এই চাকরি বাকরি করায় সুযোগ স্রোত।


ওই সাধারণ পরিবার যার আর করে পড়াশোনা,
দুই একজনে সফল হয়েছে দেশটির হাতে গোনা।
স্বাধীনতা সেই বিরুদ্ধে যার একাত্তরের বংশ,
করে দুর্নীতি চাকরি পাচ্ছে দেশের অধিক অংশ।


চাকরি হবার আগে তারা এক স্বাধীন চেতনা ভক্ত,
চাকরি পাইলে রাজাকার মুখে দেখায় স্বজাত পোক্ত।
যাচাই বাছাই কেমনে করবে মানুষ চেনার ভার,
শহীদ ভাইর রক্ত জীবন বৃথা করিওনা আর।


নতুন শাসনে নতুনদের কাছে শহীদ চেতনা খুঁজি,
করেনি যুদ্ধ একাত্তরের চেতনা কতটা পুঁজি।
যার আদর্শ শেখ মুজিবের আদর্শ মন ধরে,
দেশের জন্য তাকেই তোমরা নেতা করে দাও তরে।