সালাম সাহেব বিদেশ গেছেন বহুদিন কাল আগে!
সে কালে গ্রামের কিচ্ছু ছিলো না সজাগ চোখের ফোটে,
না ছিলো একটু কলকারখানা ভরাট জমিন লাগে
চর অঞ্চলে জল খেলা তার সেই দিন ছিলো ঠোঁটে।


সালাম সাহেব বিয়ে করবার কয়েক দিনেক পরে
ছেড়ে পরিবার টাকার জন্য ছেড়েছে নিজের ঘর,
ভাগ্যে এমন বধুঁর গর্ভে সন্তান আসে প্রথম
সালাম সাহেব না দেখে বঁধুর করলে ঘরকে পর।


এমনি হায়রে অনেক বছর কেটে গেল সেই দিন
কতকিছু এলো সালাম সাহেব আসে না বাড়ির ঘরে,
সন্তান জন্মে সেই ছেলে তার বড় হয় দিন দিন
সালাম সাহেব চিঠি পাঠালেন ডাক পিয়নের তরে।


সালাম সাহেব দশেক খানেক বছর গিয়েছে চলে,
খবর পাঠায় সালাম সাহেব আসবেন তবে বাড়ি,
সালাম সাহেব আসলেন শেষে আপন দুয়ার ঘরে
লোক সম্মুখ নিজের ছেলে কে চিনেনা সালাম তারি।


তখন তো এত  ইমু ছিলো নাকি হায় সনাতন ঘরে
নিজের ছেলের ছবি নেবে দেখে হাসির ছোঁয়ার মুখে,
আধুনিকে দোর ছিলো না এতটা সুযোগ ‍সুবিদা ডালে
পাড়া পড়শির মুখের উপর না চেনা করুণ সম্মুখে।


সালাম সাহেবে দুই মেয়ে হয় না দেখে গেছে চলে
বড় মেয়ে তার দেখে যায় ঘরে ছোট মেয়ে না দেখে,
এরপর তার বাড়িতে আসার দিন হলো যার ভোলা
কেউ বলে তার জীবন এমন থাকছে জীবন রেখে।


বট বৃক্ষটা বুড়ো হয়ে যায় সালাম ফিরে না ঘরে
দুই যুগ পরে আসেন বাড়িতে চেহারা বদল আনে,
দুই মেয়ে তার চেনেনো বাপকে হাউমাউ করে বলে
হায়রে জীবন এই দৃশ্যটি কোন কাব্যতে টানে।


সালাম সাহেব তারপরে ফের বিদেশে গিয়েছে চলে
এরপর এসে অনেক বছর থাকেন বিদেশ পরে,
খবর পাঠায় আধুনিক মেলা মোবাইল যুগ ভারে
সালাম সাহেব খুব অসুস্থ বাড়ি ফের পথ ধরে।


সালাম সাহেব বাড়ি আসা পরে যত খনকার দিয়ে
পরিবার তাকে তদবির করে সারাদিন রাত ধরে
সালাম সাহেবে কোন ফল নাই গিয়েছে কয়েক মাস
সালাম সাহেবে  দেশের সকল খনকার বের করে।


কোথায় একটু উন্নতি নাই সালাম সাহেব দেহে
সালাম সাহেব দিন দিন তার ঝিমিয়ে পরেন চোখ,
সব ব্যর্থকে অবশেষে তাকে ঢাকায় নেওয়া হলো
যে হাসপাতালে ডাক্তার খানা দেখানোর অভিমুখে।


ডাক্তার তার রিপোর্ট দেখে হতাশা মনেই ডাকে
ক্যানসার তাকে করেছে গ্রাস দুই মাস আছে বাঁচা,
ব্লাড ক্যানসার বহু দেরি হয়ে কোথায় ছিলেন তিনি
আগে আনতেন সালাম সাহেবে বাঁচার থাকতো আশা।


সালাম সাহেব দুই মাস শেষ ছিলেন জগত পরে
এই পৃথিবীকে ছেড়ে গেলো সেই পৃথীবির মুখ ছেড়ে,
খনকার তার তদবির নাহি কোমো থেরাপিটা দিতে
হয় উছিলায় থাকতে জগত নিতেনা প্রাণটা কেরে।