তোমার রূপ লাবণ্য ধানের কচি ডগায় সুরসরি দেয়
আকাশ প্রদীপ এলে বিলিন হয়ে গিয়েছে ভোরের শিশির,
মাঠের উপর ধরেছে সবুজ শাড়ির চিত্র সেখানে হলুদ
সরিষার ফুল গুলো সুগন্ধি ছড়ায় নাকে হঠাৎ নিবিড়।


দেখেছি নারীর রূপ নারীও দেখেছে মাঠ হেলিয়েছে মিল
নারীকে বেসেছি ভালো, নারীকে চিনেছি রূপ কাছে চমৎকার
প্রকৃতি দেখেছি ঘেঁষে হৃদয়ে গিয়েছে মেশে বাংলার বৈচিত্র
নদীর মত বয়েছে জীবনের স্রোতধারা মিছে একাকার।


বিশাল মাঠের কাছে ছোট্র সেই কুটি বাড়ি কোকিলের সুর
দোয়েল গলার শব্দে ঘুম ভাঙা ভোর খানি আচমকা করে,
যেখানে গিয়েছি আমি যেথায় পড়েছি আমি হৃদয় কাতরে
বার বার মনে পড়ে বাংলার সকাল বেলা চোখের উপরে।


অনেক থাকতে পারে তোমার ধন রত্নের বিশাল পাহাড়
আমার বাংলার তীরে পাখির কন্ঠ আকুল দিয়েছে মমতা,
ছুঁয়েছে নির্জন বনে টিনের বারান্দ থেকে হয়েছে সজাগ
হাজার অমূল্য চেয়ে আমার বাংলা প্রকৃতি উচুর সমতা।


কবিতা নং ২
সবুজ প্রকৃতি যেনো নারীর আঁচল শাড়ির আঁচল
ফুলের চমক দৃশ্য রেশমী চুড়ির ঝাঁঝালো মিছিলে।,
নারীর সৌন্দর্য এনে বাংলার দৃষ্টতা দিয়েছে আসর
নারীও প্রকৃতি যেন সুতোয় বাঁধানো প্রজাপতি বিল।


নারীর আঁচলে নেই বিপত্তি সংকট রয়েছে শোভায়
বাংলার এই আসর একাত্তরে হয় রক্তের দাপট,
বাংলার সম্পদ এই সবুজ শ্যামলে প্রকৃতির কোল
চির অক্ষয় থাকুক বহমান ধারা চেয়েছি প্রকোপ।


মাঠের চাষার মনে স্বপন পূজারী রজত থাকুক!
মাঠের ফসল জেগে সর্বত্র থাকুক ফুল ফল জুড়ে,
এক আকাশ বাতাসে শীতল থাকুক আনাচে কানাচে
নারীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ থাকুক নারীর এই ভবঘুরে।


ফুলের সুগন্ধি নিয়ে মাঠ আর মাঠ নয়ন হারানো
আঁকাবাঁকা মেঠো পথে মানুষ ছড়িয়ে থাকুক সর্বত্র,
স্বার্থহীন দেশব্যাপী সোনার মানুষ থাকুন বাংলায়।
নদীর কিনারা চরে অতিথি থাকুক পাখিদের বৃত্ত।


খাল বিল নদী জুড়ে পানকৌড়ি নামা অবাধ থাকুক
পুকুরে সাঁতার কাটা হাসের মিছিলে সমাবেশ নিয়ে
নারীর গৃহ পালিত বিচরণ হয়ে সর্বত্র থাকুক
বাঙালি নারীর মত ঐতিহ্য নিংড়ানো ভালবাসা দিয়ে।


নারীর অঙ্গের মত স্বচ্ছ সাবলীল পরিষ্কার হয়ে
থাকুক এই বাংলার মাঠ থেকে মাঠ পথ থেকে পথ
খোঁপায় বাঁধা ফুলের গোছানো থাকুক প্রতিটি ব্রকেডে।


কবিতা নং ৩
কেমন সন্তান মাগো পয়দা হয়েছে তোমার জমিতে
বাংলার শরীরী ভাষা অক্সিজেন টেনে জীবন বাঁচায়,
বাঙালির রক্তে মেশা বাংলার সংস্কৃতি বাংলার সম্পদ
ভিনদেশী ধর্মভক্তি বিদেশি বায়ুর প্রেমকে খোঁচায়।


একি বখাটে সন্তান জন্ম হয়েছিল তোমার ঝুলিতে
বিশ্বাস হীন চেতনা বাক্যালাপ হয় শহীদ বিরোধী,
একাত্তরের রক্তের বিনিময়ে ভুলে একদল মূর্খ
দেশের আগাছা মনে হরতাল করে ভাঙছে সম্প্রতি।


সকল ভূমি স্রষ্টার নিজ হাতে গড়া প্রেম উৎপাদন,
আমার ভূমি চরিত্রে প্রশান্তির বুকে সমৃদ্ধ হৃদয়,
হিন্দুস্তান, পাকিস্তান কোন ঠাঁই নেই ধর্মের দোহাই
সকল ধর্মের লোক উৎসাহিত হবে জয় বাংলা জয়।


নিজ ধর্মতত্ত্ব থেকে স্রষ্টার নৈকট্য অর্জন করবে
অন্যের চিন্তাকে ছেড়ে নিজের বাঁচার অধিকার চাও,
নিজের মঙ্গল ব্রত উর্ধ্বে উঠে যাও আকাশ সমান
তোমার আদর্শ যেন সত্যের পয়দা সকলে মাখাও।


এখনি ভণ্ডামি ছাড়ো নাকি লুটপাট রয়েছে মগজে
ধর্মের দোহাই দিয়ে স্বার্থ রক্ষা করা তোমার ফয়দা,
বাংলার সম্পদ খেয়ে করে বেইমানি বাংলার সন্তান
বাংলার পথে প্রান্তরে দুর্নাম ছড়ায় করায় কায়দা।


নেতৃত্বে আযোগ্য হতে পারে তুমি কেন? মিথ্যার আশ্রয়ে
মাথা বিকৃত মস্তিষ্ক তোমার কুফল দিক অমানুষ করে।


কবিতা নং ৪


খালের ওপারে ফুল সমাবেশ মাঠের উপর
এপার এসেছে ফুলের গন্ধে চোখও ওপারে,
আমি কেবলই এই পাড়ে আছি মনও ওপারে
এই পাড়ে আছি টেনে নিয়ে যায় সরিষার পাড়ে।


পাখি উড়ে যায় ক্ষেতে পাখা হীন আমি এইপাড়ে থাকি
যদিবা থাকতে দুইটি পাখার কব্জি স্বাধীন,
সকাল বিকেল কে ঠেকাবে আর ওপারে যাওয়া
মনে হয় যেন আছি দুই দেশে কাঁটা তারে বেড়া।