সহস্র বৎসর ধরে আমি ঘুরিতেছ ভুলকের পথে,
তপ্ত মরুর রুদ্ধশ্বাস হতে দুর্লভ হিমালয়ের সিন্ধু-নদে
অনেক ঘুরেছি আমি; অগাস্টাস-এর বিধ্বংসী নগরে
যেথা ছিলেম আমি; অতি দূর ধূসর ধুলোর জগতে;
আমি ব্যর্থ ক্লান্ত পরিশ্রান্ত, এ দু-চোখে অরুণার আহ্বান,
আমারে শান্ত করেছিল অচেনা দূরের কোন এক তরুলতা জাহান।


চুল তার অন্ধকার নিস্তব্ধ রাতের কুহেলী আঁধার,
আঁখি তার চন্দ্রাকার কিংবা হরিণী বাহার; গহীন বনের পরে
পথ হারিয়ে যে পথিক পাইয়াছে ঝর্ণার জ্বলাধার
কাশফুল অরণ্যে ধারে, যখন সে বেয়ে চলে ধানসিঁড়ির কূল দিয়ে,
তখনি দেখেছি তারে প্রভাতের শিশির ঘাসের পরে, ‘বলেছি এতোদিন কোথায় ছিলেন?’
প্রজাপ্রতির রঙ্গিন ডানার ন্যায় মিশে থাকে কোনে এক তরুলতা জাহান ।


ফাগুনের দমকা হাওয়ার শেষে দিবসের অন্তিম ক্ষণে
সন্ধ্যা আসে; অতি দূরে গগনে মেশে হলদে আভায়;
প্রকৃতির সব খেলা নিভে যায়, পাখিরা ডানা মেলে ফিরে নীড়ে
তখন নিস্তব্ধ পৃথিবীর রংধ্নুর রূপ নিরবে হারায়;
সব তাঁরা ভেসে উঠে – সব আলো নিভে, নিভে আসে সব অনুপ্রাণ;
থাকি শুধু একাএকা – স্পৃশ্যে তুমি তরুলতা জাহান ।


রচনাকালঃ- ২৫ মে ২০১৯