অনুমান -
=============
মোঃ রহমত আলী
=============
বলতে পারো কে ? তুমি,
কখনোই কি ? কাঁদো-নি।
আবেগ ছাড়া কেউ আছো কি ?
বিবেক আছে অনেকের-অনেক,
কম-বেশি-বেশ তবে ঘুমে-ঘুমন্ত।
আবেগহীন কারো কান্না আসে কি ?
মৃত নয় তবু বহু বিবেকবান,
আছে তো আজও জাগা-জাগ্রত,
শুধু বোবা হয়ে আছে চুপ তার কন্ঠ।
আবেগের অনুসূচনায়,কারো আঁখি জল,
করে ছল-ছল,বেওয়ারিশ লাশ দেখে।
অতি বিবেকের তাড়নায় দেখে না,
কে ? সে উঁকি দিয়ে লাশ ঘর।


জানতে চাই ! পন্ডিত পণ্ড কখন,
জ্ঞানের দরিয়ায় ডুবে অজ্ঞান যখন।
অন্ধ বিবেক যদি অপদস্থ করে,
জিন্দা আবেগের বিশ্বাসের ঘর।
পাশাপাশি অতি জরুর আবেগের বিবেক,
নয়তো মানবতার হবে রোজ নতুন কবর।
এ কেমন কান্না আবার বিবেকের
ভরাডুবিতে,জ্ঞানী হারায় পথ কেন?
মরুভূমিতে,আবেগের হিম্মৎ এই,
জেগে উঠে বৃদ্ধ ফের নওজোয়ানীতে।
ভুল পথে চলায় যদি কভু আবেগ,
তো সৎ রাহে শুধরায় দেখ সু-বিবেক।


বলতে চাই ! আবার বিবেকের দংশনে,
জেগে উঠাতে মৃত শত সব আবেগ।
আছে কেন আজ আবেগ ঘুমিয়ে বন্ধু,
বিবেক কি দেয় না সাড়া প্রতিবাদে।
যারা খুব বেশি বিবেকবান তারা,
নিজের তরেই জীবিত স্বার্থে থেকে যান।
আবার অতি আবেগে আপোনের ক্ষতি,
আপনে করে বিবেকের ধ্যানী না হলে।
আবেগ-বিবেক উভয় অতিবো জরুর,
সমান তালের-তালে,জীবনে নিজের
ভালো শুধু ভালোই নয়,অপরের ও
উপকারে আসে যে বিবেক-আবেগী হয়ে।


বলি তাই ! মানুষ যদি ইনসান হয়,
বিবেক দিয়ে সঠিক ইনসাফ করে,
আবেগী মনে সবার হক আদায় পারে।
আবেগ-বিবেকের সত্য প্রকাশে,
ইচ্ছুক যে জন,অন্যায় হতে দূর
থাকিতে বাধ্য সে হন,তাই তিনি
বিবেকবান-আবেগের মহনীয় জন।
আবেগ-বান নির্দ্বিধায় সাহায্যের
হাতে-হাত ধরে হয় আগে আগুয়ান।
আর বিবেকবান কিছু,নিজ স্বার্থে
আগে মিলিয়ে হিসাব,পরে আগুয়ান
অপরের উপকারে তবেই দৌড়ান।
জানিনা আর কতটুকু সঠিক
তবে এ আমার সব অনুমান।


২৪.০৪.২০২৩