মিঠা বিষ ভাষ্য
============
মোঃ রহমত আলী
============
মিষ্টি বুলির গুনে,বিষ ছুপায় গীলে,
কটু ভাষা হজম হবে,মৃদু হাসির ছলে।
মিঠার বড় গুণ,পিঁপড়া যত সব করে,
চারি ধারে গুন-গুন,ডুবে মরে মিঠাই-তে।
কটু কথায় বিগড়ায় কাজ কাম,
ধুলোয় মিশে যায় যত মানজান।
গেলে পরে কোনো আত্মার আত্মীয় বাড়ি,
সবে নেয় সনে মিষ্টির ভরা হাঁড়ি খানি।
ঘোষ দাদা বড্ড মিষ্টভাষী,
প্রণাম করেন হাসি-হাসি,
কিনলে পরে মিষ্টি বেশ খুশি,
ওজন দেন মিঠাই বাক্স সমেত মাপে কম।
তড়িঘড়ি যেতে মেহমান-বাড়ি,
ওজনে খেয়াল কে করে বাড়াবাড়ি।


চিনির মিঠা কমছে দিনে-দিন,
চিনে ধরে নিলে চোর তর্কে বহুদূর।
যেমন নুনের এখন গুণ কম,
তবু নুন ছাড়া মিঠাই এর স্বাদ ফিকা।
মাটির হাঁড়িতে মিঠা দই,টক দই থৈথৈ,
জমাট ভরা বেচে এক কেজি বলে।
মেপে দেখি মালসা সহ দেড় কেজি হলে,
বাহ্ কেমন মিষ্টির এ মিঠা বাটপারি ভাই।
বাড়ি গিয়ে সবে দই খেয়ে চেটে,
খালি ভাঁড় মেপে সাতশত গ্রামে।
এবার নালিশে,বাবু ঘোষ মশাই বলে,
কেজি এক ছিল তো ঠিকই দাদা !
বোধহয় মাটির হাঁড়ি দুইশত গ্রাম,
খেয়েছে জাদা,এই ভুল ক্ষমা চাই দাদা।


ভেজাল এর কথা বলে লাভ কি ?
ভেজাল মানুষ তাই মিঠাই,সন্দেশ,
দই,চমচম,জিলাপি,রসগোল্লা সবই,
এক নম্বর এর নামে পাই তিন নম্বর।
আছে বৈকি কোন ঘোষ দাদার,
মিঠা এক নম্বর,তবে দামে চড়া,
তা আর খায় কিনে কারা-কারা।
ওজনের বেলায় ঠগী অনেকেই আনমনে,
তবে ঠকে গরীব বেশি,অতি দামি মিষ্টান্ন
কিনে,ওজনে কম যে পায়,তাই মিষ্টির
মিঠা সারা নোনা ঘামে ঝরে যায় !
তবুও মিষ্টান্ন সব অনুষ্ঠানের অনন্য।


ওজনে শুধু তাই নয়,মাছ-মাংস,
মুদি-মসলা,ফল-সবজি প্রায় অনেক,
দোকানী মাপে কম দিয়ে হোন তুষ্ট।
হোক খরিদ্দার বুঝে না বুঝে অসন্তুষ্ট,
তাতে কি যায় আসে,লাভ তো একার।
মিষ্টি সে তো সকলের সন্তুষ্টি,খেতে মজা,
জিলাপির প্যাঁচ অনেকের মনে ধ্যানে,
মিষ্টি কথার দুষ্ট জনে পাড় পেয়ে যান,
ফেসে যায় সৎ লোকে মিথ্যার প্যাঁচে।
নামি-দামি লোকের বিষ,মিঠা তার ভাষ্য,
ব্যথার কথার পরে তারা মিষ্টি মুখ করে,
তো আর কিছু বলদ সব হাঁ করে দেখে ।


২৭.০৪.২০২৩