মহাওষুধ
============
মোঃ রহমত আলী
============
অসুস্থ আজ সমাজের সামাজিকতা,
বড্ড পীড়ায় কাতর মন-মানসিকতা।
উদাহরণ তো লক্ষ শত কোটি তার,
কোথা হতে শুরু করি বুঝিনা আর।
সবাই তো মানবিক তবে আজ হারানো,
কোথায় সবার মানবতার-মানসিকতা।
রোগা হয়ে আছে সহজ-সহযোগিতা,
নেই মানসিক সৎ সৎ সব প্রতিযোগিতা।
জটিল রোগে আক্রান্ত উপকারিতা,
সাহায্য প্রার্থী ও কজনে ছলোনিকা।
অবিশ্বাসে ক্ষতবিক্ষত এখন মানবতা,
ব্যর্থ প্রমাণে চিকিৎসা দিতে অপারগতা।


আক্রান্ত অনেকেই স্বার্থের ব্যধিতে,
নিজ জঘন্য নিচু মানসিকতায়,
হাসিল করতে সম্পদ,রক্তের কেটে বন্ধন,
পাঠিয়ে দিলে ক্ষমতার কুজ্ঞানে,
আহত মস্তিষ্কের মানসিক পাগল বলে,
বন্দী করাইলে পাশবিক নির্যাতনের,
মানবিক-অমানবিক পাগলাগারদে।
মনুষ্যত্ব হচ্ছে আজি বিক্রয় সস্তায়,
ডাক্তার কবিরাজ ওঝা,কেউ কি সোজা।
ভাগিদার সবাই তো দেখি কড়ি গুনিবার,
দায় কোথাও কী আছে -কি নেই কারো,
প্রতিবেশীর-প্রতি মানবিক-মানবিকতার।


উদার ভাষ্য নেই বলো কার !
তবু দেখি নাতো যা দেখানোর দরকার।
মূল্যবোধ হতে বোধগম্য পড়ে আছে,
সব গভীর জানোবিক গর্তের গর্ভে।
নিকর্মা খুঁজে পেল কর্ম মানবতার জন্য,
দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন যেন অবহেলা করলো।
ইনসানিয়াত শুধু মুখেই বলি জিন্দাবাদ,
খুবই কম দেখি ইনসাফকারী বারবার।
সহানুভূতি জিন্দা করি সবাই একবার,
তবেই তো মানবতার জয় হবে প্রতিবার।
কাননে কোকিল কাঁদিবে না কো আর,
পেরেশান-মজলুম খুশ আঁসু মুছে আবার।


অসুখ পুরাতন জেগেছে শত নতুন রূপে,
মানবতার আঙিনাতে আগুন লেগেছে।
যেখানে-সেখানে কেউ আহ্ নিভাতে যাই,
কেউ লুটিতে চায় খাজানা পেয়ে বাহানা,
কেউ মজা নেয় দেখি-দেখে দূর হতে খুব।
অশান্ত-আগুন শান্ত হলে পরে লুটে নিলে,
সব ছাই মাটি ইস্পাত চোরে-চোর মিলে।
মানবতার শ্মশানে কেউ কান্নায় ভাসে,
কেউ চিতায় খোঁচা মারে দায়িত্ব পালনে।
তাই কারো মাথায় হাত সব হারায়ে,
আর কারো পেটে ভাত লুট করা মালে,
তো মানবতা জিন্দা আজ কবর ঘরে !


আহত অনুভূতি কেন অনুশোচনার ?
অনুভব করে কি কেউ পাগলের পিছু,
ঢেল ছুড়ে যারা তারা ঠিক কারা ॥
রাজপথে রক্তের আলপনা আঁকা কেন ?
বেওয়ারিশ লাশের,এ কেমন পরিকল্পনা।
আহ্ ভিখারির ভিক্ষা করা টাকা কয়টা,
চুরি করে বা ছিনিয়ে নেয় তারা যারা,
ওঃ বৃদ্ধের প্রথম ভাতা হজম করেছে যে,
বলতে পারে সভ্যতা ! কে সব তারা কারা।
চৈতন্য আজ সে কি ! হারালো মনুষ্যত্বের,
অসুস্থ বিনোদন দেখে চুপ সব দুঃস্থদের,
কৃপণ অতি জন হাত বাড়াতে মদদের।


বেমার ভীষণ মানুষ প্রায় বিবেকহীন,
শোনেনা আর্তনাদ কারো আর প্রমাণহীন।
দিন-দিন মানবতা এখন জাদুঘরে বন্দী,
যতনে সাজানো জর্জরিত শো-পিস মাত্র।
অসহায় আজ-কাল মানবেতর জীবিকা,
প্রতি-দীর্ঘশ্বাস অপেক্ষায় উদারতা মুখী,
কেউ পারে কি শোনাতে মানবতার বার্তা,
অন্যায়ের সম্মুখে মুখোমুখি প্রতিবাদে।
সহানুভূতি বড়ই দরিদ্র হয়ে মাঙ্গে সাহায্য,
যে বিলাসিতায় মানবতা বিলীন আশ্চর্য !
তাই করুণা নিজেই এখন বড় ভিখারী,
তো কেঁদে-কেঁদে হাসে আজ মানবতাবাদ।


১১.০৪.২০২৩