আলো আধার
জুনায়েদ খান প্রান্ত
__________


রাএি হতেই মনের মাঝখানটায় দোলা দিয়ে যায়।
অজানা অনুভূতিতে শিহরিত হয়।


বিকেল হতেই আলো-আঁধারির খেলা শুরু হয়।
দূর আকাশে চাঁদ মামাটাও উঁকি মারে।
আধাঁর নেমে আসতেই ঝিঁঝি পোকার ডাকাডাকি  খানিকটা বেড়ে যায়।
সৃষ্টি করে অন্যরকম ভালোলাগার।


আধার নামতেই দেখা মিলে জোনাকিপোকার,
তারা বিচরণ করে মাঠে-ঘাটে।
তাদের আলোয় আলোকিত হয় পুরো সন্ধ্যা।
বেলি ফুলের গন্ধে সরোবর হয়ে ওঠে,
বাড়ির উঠানের আনাচে-কানাচে।


শিশির বেজা সবুজ ঘাসের উপর
চাঁদের আলো পরতেই ঝলমল করে ওঠে।
মনে হয় যেন একপালি মুক্ত।
মনমুগ্ধকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি,।
মনের মধ্যে অজানা উদ্দিপনা কাজ করে।


জোছনার  ম্লান আলোতে
আলোকিত হয় বাংলার পথ-ঘাট।
হুতুম পেঁচার ডাকে
অমঙলের ঘোর বাঁধায় মানুষের মনে।


রাএি যতই গভীর হতে থাকে
একাকিত্বতা ততটাই ভর করতে থাকে।
অনেকে পূর্বস্মৃতি মনে পড়ে
হয়ে ওঠে আবেগ তাড়িত।


সুখ, দুঃখ, বেদনার মতো
অজস্র কথা ভর করে মনের মাঝে।
ঘরের জানালা দিয়ে আসা আলো
যেন মুগ্ধতায় ভর করে।


ছুটে যেতে চায় এই মন,
জোছনার আলোয় স্রান করবে বলে।
জোছনার আলো ছুঁবে বলে।
মন ছুটে যায় দূর গগনতলের,
অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করবে বলে।


মুক্ত আকাশ, মুক্ত বাতাস, মুক্ত ছাউনি
সবকিছুই যেন মনকে পুলকিত করে।
এসব দেখে আমি মুগ্ধতার মধ্যে হারিয়ে যায়।
আবার মৃদু বাতাসের সাথে ফিরে আসি।


অনেক সময় বাউলগানের
কথা ও সুরে ভেসে যেতে চায় মনপ্রাণ।
এই সৌন্দর্যকে দেখার যেন নাহি শেষ হয়।
মনচক্ষু দিয়ে দেখার প্রয়াস সবসময় অপূর্ণ থেকে যায়।