বজ্রকন্ঠে আলোকপাত
মোঃ রায়হান কাজী
---------------------
পূর্বপুরুষের সমাপ্তি ঘটেছে বহু বছর আগে,
বজ্রকন্ঠে আলোকপাত ঘটিয়েছে আবার কে?
প্রলয়ের আহ্বানে জেগেছে শক্রদল অসময়ে,
মৃত্যুর মহানিশা রৌদ্রময় খোলা প্রান্তরে।
নিঃশেষে রক্তাক্ত দিগন্ত গ্রাসে মহাবিশ্ব,
অশ্রুসিক্ত তরুণের পাপীরা হচ্ছে যে নিঃস্ব।


ঘন বর্ষায় রাত্রি কুহেলিকা বলিলো চুপিসারে,
মাঝ নদীতে ঝর উঠেছে খেয়াঘাট অনেক দূরে।
আতঙ্কিত সুরের দামামা বেজে ওঠে নির্জন প্রান্তে
বিন্দুমাত্র আশার সঞ্চার নাই ডুবিলো বুঝি যাত্রী।
উতপ্ত জলরাশি জুড়ে কাঁপছে থরথরিয়া দামিনী,
আচমকা হুঙ্কারে অবহেলিত জলাদ্বারে যামিনী।


জেগেছে অন্তরে পাপ সাপের হিসাব খোদার ভয়,
ভুলে লঙ্ঘিত সিন্ধুর প্রলয়ের নর্তকীর নিত্য।
প্রাণ বুঝি যায় তরী ছেড়ে মাঝি নির্ভীক চিত্তে,
নয়ন জুড়ে দেখছে চারদিক ভূতুরে প্রলয়ের গর্জন।
পথের মাঝে শূন্যতার সীমা এঁকে যাত্রীরা নয় নিষ্পাপ,
পাপ তাপের সমীকরণ অশ্রুসিক্ত তরুণের গণনার মঞ্চে।


নিঙ্গড়ে সব বহ্নি-রাগে বিষাদ যন্ত্রণা  শুধু ভাসে,
তাইতো আজি রাত্রিনিশি বেদনার বাঁশি বাজে।
সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসীন মন যে কেমন করে?
রুদ্র তড়িৎ কান্না হাসি তারুণ্যেকে কিভাবে বেঁধে রাখি।
বজ্রকন্ঠে আলোকপাত ঘটিয়ে আহ্বান প্রলয়ে,
অশ্রুসিক্ত তরুণের শত্রুদল কাতরাচ্ছে রক্তাক্ত দিগন্তে।