প্রকৃতির সাজসজ্জা
জুনায়েদ খান প্রান্ত
----------------------
আমি মাখিয়েছি গায়ে এদেশের ধূলো,
মাখিতে চাইনা অন্য কোনো দেশের ধুলাবালি।
বাংলার আকাশ, বাংলার মাটি,
সবসময় থাকি প্রকৃতির কাছাকাছি।


এ মাটিতে জন্ম আমার, এ মাটিতে বেড়ে ওঠা।
যতসব আছে গাছের,লতাপাতা আর
শেকড়বাকড় সবকিছু যেন আঁকড়ে রাখে আমাকে।
বাঁধিয়া রাখে মায়ার বন্ধনে জড়িয়া বাংলার বুকে।


ছয় ঋতুর এই দেশে বৈচিত্র্যময় চরিত্রের সঙ্গে,
নিসর্গের একান্ত রুপ রসিকতায় ফুটে ওঠে।
নববর্ষের পুণ্যবাসরে গ্রীষ্মের শুভারম্ভে,
গরমের দাবদাহের সাথে জীবন করে অতিষ্ঠ।


আষাঢ় মাস নিয়ে আসে উন্মাদ বর্ষা,
পথঘাট ডুবে ভাসে এই ঋতুর স্বভাব মেনে।
ঝরঝর ধারা ঝরে শেষ শ্রবণে,
গগণ জুড়ে শব্দে তুলে অনবরত ভাবে।


বৃষ্টির আনাগোনার মধ্যে দিয়ে,
ভাদ্রের আঙিনায় শরৎ দেয় উঁকিঝুঁকি।
কৃষক ধানকাটে উৎফুল্ল মনে,
লোকসংগীতের উৎসব বসে বটের মূলে।


উত্তুরের হিমেল হাওয়া সাথে,
হেমন্তের বিদায় সুর ভাসে।
শীতের আগমন ঘটে বাংলার প্রাঙ্গন জুড়ে।
কুয়াশার চাদরে মোড়ে গিরিপথ সর্বাঙ্গ জুড়ে।


শীতার্ত প্রান্তরের মাঝে,
ঘুম ভাঙিয়ে বসন্তের আগমনী বার্তা বহে।
জীণশীর্ণ রুক্ষ প্রকৃতির মাঝে,
গাছগাছালি প্রাণ সঞ্চার করে।


বসুন্ধরা সাঁজে নতুন রুপে,
অঘ্রাণের সুরে পাগলপারা করে দেয় আমাকে।
ছয় ঋতুর বৈচিত্র্যময় চরিত্রের সঙ্গে,
নিজেকে মিলায়া লই বহুরুপির সাঁজে।