শোণিত উচ্ছ্বাস
মোঃ রায়হান কাজী
--------------------
লোকজন কভু চুপচাপ থাকে নাতো এমনি করে,
যে কথা কয় সে আড়ষ্টভাবে রয় নাতো অন্ধকারে।
হেলে পড়া শ্রুতিমধুর প্রতিশব্দ শুনে দীপ্ত প্রহরে,
সে তো জেগে উঠবেই রবির কিরণে ঝলমলিয়ে।


তুমি কেন রেখেছিলে বিষাদের স্মৃতি গায়ে মেখে?
মিথ্যা রোষানলে পুড়ে বিশ্বাস ভাঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে।
দুর্বার প্রাণবেগে সহস্র বাঁধা ডিঙিয়ে আসবে ফিরে,
জেগে ওঠবে নতুন দিনের প্রত্যহের জীবন স্পন্দনে।


হৃদ নদীতে ছন্দের তালে পা মিলিয়ে পারাপার,
নিশিরাত্রি ভোর এগিয়ে চলি বক্ষ চিরে প্রাচীরে।
দুর্জয় শক্তি সঞ্চার করে কীর্তি লিখি দেয়ালে,
কত প্রভাত জাগ্রত হয় দ্বারে শতাব্দীর স্মারক হয়?


কালের সাক্ষী হয়ে কত মুহূর্ত রয়েছে রুদ্ধ হয়ে?
আজাদীর কন্ঠে আক্ষেপ প্রতিফলিত উচ্ছ্বাসে,
প্রত্যাশারা কেঁপে ওঠে বক্ষ পিঞ্জরে শক্তিরূপে।
শিরায় শিরায় জেগে ওঠে অতৃপ্ত রসনার স্পর্শে।


মূর্ত প্রতীক রুদ্ধশ্বাসে যদি বন্দিত্বের শৃঙ্খল ভাঙে!
তবে হাসবে কী বসুধা অতি মধুর শোণিত উচ্ছ্বাসে?
সুপ্ত বাসনা প্রসারিত রন্ধ্রে সুগম্ভীর চিন্তাভাবনায়,
শান্তি সাম্যর বার্তা রটিয়ে দেয় চলো তীব্র বেগে।