হঠাৎ করে আসি,পৃথিবীতে বসি
      করি শুরু কান্না ;
কেউ হয় বল্টু, কেউ হয় সল্টু
কেউ বা হয়ে যায় মান্না।
এই তো হল চলা শুরু,
কেউ হয় সরু,কেউ বা পুরু।
দিন যায় মাস যায় -
কিছু কিছু বদলায়,
   পুরুষ ও নারী ;
আস্তে আস্তে চলতে
আস্তে আস্তে বলতে-
   শিখে নেয় কারিগরি।
এইতো হল মানব শিশু,
যাকে বলে নতুন টিস্যু।
স্কুলে যায় প্রাইমারী, নিয়ে বন্ধু সারিসারি
ঝগড়া -বিবাদ যায় মিটে সহজে;
এখানে খুব মজা,সবাই সবার রাজা
তার ওপর সুস্থ মগজে।।
তারপর এল কৈশোর,শুরু হল তাড়াহুড়।
কেউ বা স্কুল মাঠে,কেউ বা নদীর ঘাটে
কেউ থাকে প্রখর রোদ মাঝারে;
কেউ থাকে অলি-গলি, কেউ থাকে শহরতলী
কেউ বা থাকে বন্দর বাজারে।
কেউ থাকে নিয়ে তার কাজ,
কেউ বসে থাকে তার খুব লাজ।
এভাবেই কাটে দিন, চলে সময় বিরামহীন
     তবু চলে বাপের হোটেল;
এভাবেই চলে, কৈশোর কালে
   তারপর ঝামেলা বিশাল।
যখনি শুরু যৌবনকাল,
এ যে বন্ধুর মতো মিটায় ঝাল ;
এসময় খুব ভালো,
এ সময় কালো
  ভরা স্বাদ-বিস্বাদ।
এসময় কারো হাসি, এসময় কারো ফাঁসি
কারো বা আর্তনাদ।।
তখনই যায় বোঝা, বাপের হোটেল কত সোজা!
এরপর দু থেকে চার পা
বলে শুধু পা পা,
এতো নতুন পরিবেশ ;
কিছু দিন পর,
ভরে যায় ঘর
  তখন সবার দাদার বেশ।
মানে তুমি বুড়া, সময় আছে তোরা
কিছু দিন পরই,যাবে আপন বাড়ি।
শেষ হবে কুটুম বাড়ি।।
এভাবেই আমরা,তুমি বা তুমরা
আসি যাই ফিরি।
আসি যাই ফিরি
ছাড়িয়া মানব গাড়ি।।