কেমন ছিলাম,কেমন আছি,
এই চিন্তায় ই আজ বাঁচি।
    নিজেকেই আজ নিজের কাছে
লাগছে বড় অচেনা,
           বিচিত্র সব মনের মাঝে
মোর মানসপটই অজানা।


কখনও ভাবি দুরন্ত আমি
               বেশ খানিকটা উড়নচণ্ডী,
ক্রমেই আসে নির্জীবতা
         চুপসে যায় মোর চলার গণ্ডি।
    কখনও খুব গম্ভীর আমি, অক্লান্ত এক জ্ঞান তাপস,
     দুষ্টুমি যেই মাথায় চাপে, জ্ঞান সাধনায় নামে ধ্বস।মাঝে-মধ্যেই আকাশ দেখি,প্রেয়সী বানাই প্রকৃতি রে,
  ফেসবুকের ফাঁদে পড়ে,নিসর্গ কে যাই যে ছেড়ে।
ক্রমেই যাই উদার হয়ে, বেশ খানিকটা মুক্তমনা,
কানে ভাসে স্রষ্টার বাণী,লাগামছাড়া আর চলি না।
                              সামাজিক না অসামাজিক,
সেই ভাবনারই নেই যে বালাই,
                           লোকলজ্জা নাকি নির্লজ্জতা,
সে চিন্তা বলে পালাই পালাই।
    সাহিত্যমোদি  হবো আমি, প্রায়শই ইচ্ছা জাগে,
    মানুষ বলে,রসায়নে পড়ছো,,,,,
তা বাপু, বিক্রিয়াটা শিখো আগে!!


হঠাৎ হঠাৎ প্রিয়ম্ জাগে, হয়ে যাই কোন মজনু এক,
   বাস্তবতার কুঠারাঘাতে প্রেমের কাব্যে পরে ঠেক।
তখন ভাবি নেতা হবো, দারুন বিপ্লবে ফেটে পড়া,
    কর্মী আমার নেই যে কেহ,তৃণমুলে লড়বে কারা?
বুঝেছি আজ,
          ভাঙবে না মোর আত্নকে চেনার ধ্যাণমগ্নতা,
তাই,বন্ধু বিহীন একলা পথে, বরণ করি নিঃসঙ্গতা।