হে মহামানব।
মহান এ জীবন!
দুর্গম গিরিপথ!
ঐ তপ্ত দগ্ধ দিনে শুরু পথ চলা
ঐ দূরে দিগন্ত যায় দেখা।
চলে রোদ ও ছায়ার অবিচ্ছেদ্য খেলা ।
কখনো জাগে তৃষ্ণা;
নিরাশার আগুনে হয় দগ্ধ!
ঠিকানা যদি জানতে চাও-
ভেসে আসে হাসি তীব্র অট্ট !
ঘন ঘন তপ্ত শ্বাসে হও উদ্বিগ্ন ।
উদ্ধত হয় রক্ত চোখে কুমন্ত্র:
এই পথ ধরো !
ধর্ম দেয় হানা;
অর্থের মাহাত্ম্যে আনত হয় আনন!
বসন্ত আগমনের আগে
নবান্ন আসে বারে বারে
সোনা ভরা মাটির শূন্য করে বুক
শানিত অস্ত্রের প্রতাপে।
কত শীতে ঝরে কত পাতা।
এরপর আবারও 'ছায়া-শীতল স্পর্শ' খুঁজে ফিরো;
পথে প্রান্তরে, পাওনি দেখা!
মিলে মিশে একাকার চেনা-অচেনায় ।
রক্তিম সূর্য অস্ত গেল গগন প্রান্তে ;
মিলল পূর্বাভাস গোধূলির!
শোনা গেল শঙ্খ ধ্বনি
দু:সহ নিষ্করুণ তীব্রতায় ।
চরম রাত্রি ঘনাল তোমার ছায়া'পরে।
ঠিকানা না জেনে
অবশেষে পথ হারালে অন্ধকারে!
তবুও স্তম্ভিত না হয়ে-
এগিয়ে চলো সম্মুখে;
ভীরুতাকে মাড়িয়ে সাহস ভরে ।
কৃষ্ণপক্ষের নিশ্ছিদ্র এ তিমির;
কান্তারে ঘেরা গলিপথ বড়ই সংকীর্ণ ।
কালো জগতের হানায়
বুক কাঁপে থরো থরো !
চেনা স্পর্শের অনুভূতি
এখানে বিরল ।
অঙ্গ প্রত্যঙ্গে এখন শুধুমাত্র-
প্রত্যাশিত অবসাদ।
তবুও জেনো 'নিস্ব' নও তুমি!
অন্তরে তোমার ঘাত-প্রতিঘাতে দীর্ণ বিদীর্ণ ,
অপমানে লাঞ্ছিত এক হৃদয় ।
যদিও স্খলিত পায়ে চলা;
তবুও জেনো অভ্যস্ত এই কদম।
অতৃপ্ত আত্মা নীরবে বোনে অঙ্গীকার!
শেষতম জীবন শুধুই তৃষ্ণার্ত প্রার্থী :
'উষার আলোয় সবুজ ঘাসে
শিশির ভেজা কোলে
শিশুর হাসি উঠবে ফুটে
আরও একবার '।।